সংবিধান

মেম্বারশিপ

নতুন সদস্য হতে হলে, বর্তমান কোনো সদস্যকে তাকে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে। শুরুতে শুধুমাত্র সুপ্রিম প্রেসিডেন্ট ইন্ট্রোডিউসার হিসেবে কাজ করবেন, তিনি নতুন সদস্যদের পরিচয় করিয়ে দেবেন। পরে এরা নতুন সদস্যদের পরিচয় করিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে সদস্য সংখ্যা বাড়বে। প্রতিটি সদস্য শুধুমাত্র একটি ইউনিটের সদস্য হতে পারবেন, তবে তারা সুবিধা না হারিয়ে এক ইউনিট থেকে অন্য ইউনিটে স্থানান্তরিত হতে পারবেন।

যত বেশি সদস্য কেউ পরিচয় করিয়ে দেবেন, তার ভোটিং ক্ষমতা তত বাড়বে। উদাহরণস্বরূপ, যদি “ক” ১০০ জন সদস্য পরিচয় করিয়ে দেন, তার ভোটিং ক্ষমতা হবে ১০১ (১০০ + ১)। অন্যদিকে, যদি “খ” একজনও সদস্য পরিচয় করাতে না পারেন, তার ভোটিং ক্ষমতা থাকবে ১ (০ + ১)। কোনো নির্বাচনে যদি “ক” “চ”-কে ভোট দেন এবং “খ” “ছ”-কে ভোট দেন, তবে “চ” ১০০ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হবেন (১০১ - ১ = ১০০)।

ভোটিং ক্ষমতা উত্তরাধিকার সূত্রে বাড়তে থাকবে। যদি “ক” ১০০ জন সদস্য পরিচয় করান, এবং সেই ১০০ জন আরও ১০০০ জন সদস্য পরিচয় করান, তবে “ক”-এর ভোটিং ক্ষমতা হবে ১১০১ (১ + ১০০ + ১০০০)।

৩ প্রকারের সদস্য

১) বন্ধু: কমিউনিটির শুভাকাঙ্ক্ষী, যাকে কোনো বর্তমান সদস্য পরিচয় করিয়ে দেবেন। বন্ধুদের সদস্যপদ ফি দিতে হবে না, তবে তারা ভোট দিতে পারবেন না, নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবেন না, এবং কোনো বেনিফিট নিতে পারবেন না। তাদের মূল ভূমিকা হবে কমিউনিটিকে সমর্থন ও উৎসাহিত করা।

২) বেনিফিশারি: এই সদস্যদের মেম্বারশিপ ফি দিতে হবে। তারা ভোট দেওয়ার অধিকার পাবেন, তবে নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবেন না। একমাত্র তারাই কমিউনিটির প্রদত্ত বেনিফিটগুলি নিতে পারবেন। বেনিফিশারি সদস্যরা কমিউনিটির বিভিন্ন সুবিধা এবং সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।

৩) ভলান্টিয়ার: ভলান্টিয়ারদেরও মেম্বারশিপ ফি দিতে হবে। তারা ভোট দিতে পারবেন এবং একমাত্র তারাই নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবেন। তবে তারা কোনো বেনিফিট নিতে পারবেন না। ভলান্টিয়ারদের প্রধান ভূমিকা হবে কমিউনিটির সেবায় নিজেকে নিবেদিত করা এবং নেতৃত্ব প্রদান করা।

সদস্যপদ প্রক্রিয়া

বর্তমান সদস্য নতুন ইচ্ছুক ব্যক্তির নাম এবং মোবাইল নম্বর (সম্ভব হলে ইমেইল) সংগ্রহ করে সেই ব্যক্তিকে “বন্ধু” হিসাবে সিস্টেমে নিবন্ধিত করবেন এবং নিজেকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব নেবেন। যদি সেই ‘বন্ধুর’ সাহায্যের প্রয়োজন হয়, ইউনিট কমিটি তাকে ‘বেনিফিশিয়ারি’ হিসাবে নিবন্ধিত করবে। অন্যথায়, ইউনিট কমিটি বিভিন্ন উপায়ে সেই ‘বন্ধুকে’ ‘ভলান্টিয়ার’ হওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করবে।

ভলান্টিয়ার হতে হলে অন্তত ১০ জন “বন্ধু” ইন্ট্রোডিউস করতে হবে। একজন ভলান্টিয়ার কমপক্ষে ১ বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করলে, তিনি নির্বাচনে দাঁড়াতে বা নির্বাহী কমিটির সদস্য হতে পারবেন।

প্রতি বছর দূর্গাপূজার সময় (অক্টোবর/নভেম্বরে) পরের বছরের জন্য সদস্যপদ পুনর্বিন্যাস করা হবে। এই সময়ে, একজন সদস্য তার সদস্যপদ পরিবর্তন করতে পারবেন (যেমন, বেনিফিশিয়ারি থেকে ভলান্টিয়ার বা উল্টোটা) অথবা এক ইউনিট থেকে অন্য ইউনিটে স্থানান্তরিত হতে পারবেন।

বার্ষিক নির্বাচন

প্রতিবছর ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ইউনিট প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে ইউনিটের সকল ভলান্টিয়ার এবং বেনিফিশিয়ারি সদস্যরা ভোট দিতে পারবেন। প্রতিটি ভোটার তার ভোটিং ক্ষমতার সমান ভোট দিতে পারবেন।

ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে উপজেলা প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে। ওই উপজেলার অধীনে যত ইউনিট রয়েছে, তাদের নবনির্বাচিত ইউনিট প্রেসিডেন্টরা এই নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। তাদের প্রত্যেকের ভোটের ওজন হবে তাদের ইউনিটের মোট ভলান্টিয়ার এবং বেনিফিশিয়ারি সদস্যদের সংখ্যা অনুসারে।

ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে জেলা প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জেলার অধীনে থাকা সব উপজেলার নবনির্বাচিত উপজেলা প্রেসিডেন্টরা এই নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন। তাদের প্রত্যেকের ভোটের ওজন নির্ধারিত হবে তাদের উপজেলায় থাকা মোট ভলান্টিয়ার এবং বেনিফিশিয়ারি সদস্যদের সংখ্যা অনুসারে।

ডিসেম্বরের চতুর্থ সপ্তাহে কেন্দ্রীয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে। এতে দেশের সকল নবনির্বাচিত জেলা প্রেসিডেন্টরা ভোট দেবেন। তাদের প্রত্যেকের ভোটের ওজন হবে তাদের জেলার মোট ভলান্টিয়ার এবং বেনিফিশিয়ারি সদস্যদের সংখ্যা অনুযায়ী।

এই সমস্ত নির্বাচন প্রক্রিয়ার বেশিরভাগ ভোট অনলাইন সিস্টেমের মাধ্যমে পরিচালিত হবে, যাতে দ্রুত ও সঠিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করা যায়।

৩ প্রকারের কমিটি

১) সুপ্রিম কমিটি: মূল ট্রাস্টের ট্রাস্টি সদস্যরা সুপ্রিম কমিটির অন্তর্ভুক্ত থাকবেন। এ কমিটি সংগঠনের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণে ভূমিকা রাখবে।

২) স্থায়ী কমিটি: সুপ্রিম প্রেসিডেন্ট কর্তৃক সদস্য নিয়োগপ্রাপ্ত হন, এবং নির্বাহী কমিটির প্রধান পদাধিকার বলে এর সদস্য হন। এ কমিটির সদস্যপদ আমৃত্যু থাকে, এবং তারা সংগঠনের ধারাবাহিকতা ও স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

৩) নির্বাহী কমিটি: নির্বাহী প্রেসিডেন্ট প্রতি বছর নিচের লেভেলের কমিটির ভোটে নির্বাচিত হন, এবং তিনি এক বছরের জন্য দায়িত্ব পালন করেন। নির্বাহী প্রেসিডেন্ট উপযুক্ত ভলান্টিয়ারদের থেকে সব কমিটির সদস্য নিয়োগ দেন। এ কমিটির মেয়াদ ১ বছরের, এবং এটি সংগঠনের দৈনন্দিন কার্যক্রম ও পরিচালনার দায়িত্ব পালন করে।

কমিটির স্তরবিন্যাস

  • সুপ্রিম কমিটি: এই কমিটি মূল ট্রাস্টের ট্রাস্টিগণ দ্বারা গঠিত হয়, যা পুরো সংগঠনের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণ করে এবং গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়িত্ব পালন করে।

  • কেন্দ্রীয় স্থায়ী কমিটি: কেন্দ্রীয় পর্যায়ে স্থায়ী কমিটি দীর্ঘমেয়াদী কৌশল নির্ধারণ এবং প্রশাসনিক সমন্বয় করে। এর সদস্যরা সুপ্রিম প্রেসিডেন্টের দ্বারা নিয়োগপ্রাপ্ত হন এবং তাদের মেয়াদ আমৃত্যু থাকে।

  • কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি: এই কমিটি কেন্দ্রীয় পর্যায়ে দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনা করে। এক বছরের জন্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের নেতৃত্বে কাজ করে, এবং কমিটির অন্য সদস্যদেরও তিনি মনোনীত করেন।

  • জেলা স্থায়ী কমিটি: প্রতিটি জেলায় একটি স্থায়ী কমিটি গঠিত হয়, যা জেলার বিভিন্ন ইউনিট এবং উপজেলা পর্যায়ের সমন্বয়কারী হিসেবে কাজ করে।

  • জেলা নির্বাহী কমিটি: জেলা পর্যায়ে নির্বাহী কমিটি দৈনন্দিন কাজের দায়িত্ব পালন করে। নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের নেতৃত্বে, এই কমিটি জেলার উন্নয়ন এবং কমিউনিটি কার্যক্রম পরিচালনা করে।

  • উপজেলা স্থায়ী কমিটি: প্রতিটি উপজেলায় একটি করে স্থায়ী কমিটি গঠিত হয়, যা ইউনিট পর্যায়ের কার্যক্রমের ওপর নজর রাখে এবং সেগুলোকে সমর্থন করে।

  • উপজেলা নির্বাহী কমিটি: এই কমিটি উপজেলা পর্যায়ে দৈনন্দিন কার্যক্রম এবং কমিউনিটি কার্যক্রম পরিচালনা করে। নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট এই কমিটিকে নেতৃত্ব দেন।

  • ইউনিট স্থায়ী কমিটি: প্রতিটি ইউনিটে একটি করে স্থায়ী কমিটি থাকে, যা স্থানীয় পর্যায়ে সাংগঠনিক কাঠামো এবং দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য নির্ধারণ করে।

  • ইউনিট নির্বাহী কমিটি: ইউনিট পর্যায়ে এই কমিটি দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনা করে। নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট এবং তার দ্বারা মনোনীত সদস্যরা স্থানীয় কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেন।

এই স্তরবিন্যাসের মাধ্যমে কমিটি গুলো একটি সুশৃঙ্খল এবং কার্যকরী ব্যবস্থাপনা কাঠামোতে পরিচালিত হয়, যেখানে প্রত্যেক স্তরের কমিটি তাদের নির্দিষ্ট দায়িত্ব ও ক্ষমতা দ্বারা পরিচালিত হয়।

সুপ্রিম কমিটি

মূল ট্রাস্টের ট্রাস্টিগণ সুপ্রিম কমিটির সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত থাকবেন। এই কমিটিতে একজন সুপ্রিম প্রেসিডেন্ট, একজন সুপ্রিম ভাইস-প্রেসিডেন্ট, এবং বাকিরা স্থায়ী সদস্য হিসেবে থাকবেন। সকল সদস্যের মেয়াদ আমৃত্যু নির্ধারিত। সংখ্যাগরিষ্ঠ ট্রাস্টিগণ চাইলে কোনো সদস্যকে বহিষ্কার করতে পারবেন বা নতুন সদস্য নিয়োগ দিতে পারবেন।

সংখ্যা: ১টি

স্থায়ী কমিটি

বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় স্থায়ী কমিটি, প্রতিটি জেলায়, উপজেলায়, সিটি করপোরেশনে, এবং প্রতিটি ইউনিটে থাকবে। প্রাথমিকভাবে সুপ্রিম প্রেসিডেন্ট ৫ জন সদস্য নিয়োগ দেন। সদস্যপদ আমৃত্যু থাকে। প্রতি বছর নতুন নির্বাহী কমিটির প্রধান পদাধিকার বলে এর আমৃত্যু সদস্য হন। স্থায়ী কমিটির প্রধান হিসেবে সেক্রেটারি দায়িত্ব পালন করেন। প্রতিবছর সুপ্রিম কমিটি এই সদস্যদের নিয়োগ দেন। এই কমিটি দৈনন্দিন কাজে অংশগ্রহণ করতে পারে না, সেই দায়িত্ব নির্বাহী কমিটির। তবে স্থায়ী কমিটি নির্বাহী কমিটির যে কোনো সিদ্ধান্ত দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে বাতিল করতে পারে। যদি স্থায়ী কমিটি এবং নির্বাহী কমিটির মধ্যে কোনো বিরোধ হয়, তাহলে তা পরবর্তী সর্বোচ্চ স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হবে। একমাত্র স্থায়ী কমিটির সেক্রেটারি এবং নির্বাহী কমিটির প্রেসিডেন্ট যৌথভাবে চেকে স্বাক্ষর করতে পারবেন।

সংখ্যা:

  • কেন্দ্রীয় স্থায়ী কমিটি: ১
  • জেলা স্থায়ী কমিটি: ৬৪
  • উপজেলা স্থায়ী কমিটি: ৪৯২
  • সিটি করপোরেশন স্থায়ী কমিটি (উপজেলা সমতুল্য): ১২
  • ইউনিট স্থায়ী কমিটি: অসংখ্য

নির্বাহী কমিটি

বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি প্রতিটি জেলায়, উপজেলায়, সিটি করপোরেশনে, এবং প্রতিটি ইউনিটে থাকবে। প্রধান হলেন প্রেসিডেন্ট। প্রতি বছর নিচের লেভেলের কমিটির ভোটে নির্বাচিত হন এবং তিনি এক বছরের জন্য দায়িত্ব পালন করেন। প্রেসিডেন্ট উপযুক্ত ভলান্টিয়ারদের থেকে সমস্ত কমিটির সদস্য নিয়োগ দেন। সর্বাধিক কমিটি সদস্য সংখ্যা ১০। এই কমিটি সংগঠনের দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনা করে। প্রেসিডেন্ট কমিটির সকল বিষয়ে ভেটো ক্ষমতা রাখেন। বর্তমান নির্বাহী কমিটি সদস্যকে বহিষ্কার বা নতুন সদস্য নিয়োগ করতে পারেন প্রেসিডেন্ট, যা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেক্রেটারিকে জানাতে হবে, তাহলেই তা কার্যকর হবে। একমাত্র স্থায়ী কমিটির সেক্রেটারি এবং নির্বাহী কমিটির প্রেসিডেন্ট যৌথভাবে চেকে স্বাক্ষর করতে পারবেন।

সংখ্যা:

  • কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি: ১
  • জেলা নির্বাহী কমিটি: ৬৪
  • উপজেলা নির্বাহী কমিটি: ৪৯২
  • সিটি করপোরেশন নির্বাহী কমিটি (উপজেলা সমতুল্য): ১২
  • ইউনিট নির্বাহী কমিটি: অসংখ্য

কমিটির শ্রেণীবিভাগ এবং আয় ভাগাভাগি

ইউনিট কমিটি (স্থায়ী এবং নির্বাহী) উপজেলা কমিটির কাছে জবাবদিহি করবে, উপজেলা কমিটি জেলা কমিটির কাছে, জেলা কমিটি কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে, এবং কেন্দ্রীয় কমিটি সুপ্রিম কমিটির কাছে।

মেম্বারশিপ ফি, ডোনেশন, বা অন্যান্য আয়ের ৫০% তার উপরের কমিটিকে শেয়ার দিতে হবে। যদি একটি ইউনিট মেম্বারশিপ ফি বাবদ ১০০ টাকা আয় করে, তবে ইউনিট নির্বাহী কমিটি নিজে পাবে ৫০ টাকা, এবং বাকি ৫০ টাকা উপজেলা নির্বাহী কমিটিকে প্রদান করবে। এরপর উপজেলা কমিটি ২৫ টাকা রেখে বাকি ২৫ টাকা জেলা নির্বাহী কমিটিকে, জেলা কমিটি ১২.৫০ টাকা রেখে বাকি ১২.৫০ টাকা কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিকে এবং কেন্দ্রীয় কমিটি ৬.২৫ টাকা রেখে বাকি ৬.২৫ টাকা সুপ্রিম কমিটিকে প্রদান করবে।

নির্বাহী কমিটি প্রেসিডেন্ট এই আয়ের টাকা কমিউনিটির উন্নয়নের জন্য খরচ করতে পারবেন। তবে পুরনো বছরের আয় খরচ করতে হলে, সংখ্যাগরিষ্ঠ স্থায়ী কমিটির অনুমোদন প্রয়োজন হবে। বছর শেষে সুপ্রিম কমিটি অডিট করবে।

বাৎসরিক বাজেট

প্রতি বছর জানুয়ারির ১ তারিখে, সব নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টরা দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। এদের স্থায়ী কমিটির সদস্য করা হবে এবং এরপর তারা সর্বোচ্চ ১০ জন ভলান্টিয়ার নিয়ে নির্বাহী কমিটি গঠন করবেন। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে তারা ৫২ সপ্তাহের বাজেট সংখ্যাগরিষ্ঠ স্থায়ী কমিটির সদস্যদের মাধ্যমে অনুমোদন করাবেন।

নতুন ইউনিট গঠন

যেসব এলাকায় নতুন ইউনিট গঠনের সম্ভাবনা আছে, সেখানে সুপ্রিম প্রেসিডেন্ট স্থায়ী কমিটি গঠন করবেন এবং ব্যক্তিগত রেফারেন্সের মাধ্যমে কমপক্ষে ৫ জন স্থায়ী সদস্য নিয়োগ করবেন।

স্থায়ী কমিটির সদস্যরা তাদের ব্যক্তিগত পরিচিতির মাধ্যমে ন্যূনতম ১০০ জন ভলান্টিয়ার সংগ্রহ করবেন। এরপর স্থানীয় কমিউনিটির মানুষকে সংঘবদ্ধ করে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের মাধ্যমে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাহী কমিটি গঠন করবেন।

ভলান্টিয়াররা দেবোত্তর সম্পত্তি ট্রাস্টের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখবেন এবং এই বিষয়ে তাদের উদ্বুদ্ধ করবেন। এছাড়া স্থানীয় পর্যায়ে বিনিয়োগকারী সংগ্রহের কাজও করবেন।

সুপ্রিম ট্রাস্ট দেবোত্তর ট্রাস্ট থেকে জমি/বিল্ডিং দীর্ঘমেয়াদী লিজ নেবে। ইনভেস্টরদের টাকা দিয়ে সুপ্রিম ট্রাস্ট জমি ডেভেলপ করে ব্যবসায়িকভাবে ব্যবহারের উপযোগী করে তুলবে। জায়গার ভিত্তিতে হোটেল, হোস্টেল, স্কুল, কোচিং সেন্টার, দোকান, পশুপালন এবং ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্প চালু করবে। সুপ্রিম ট্রাস্ট স্থানীয় ছোট ব্যবসায়ীদের ফ্র্যাঞ্চাইজি মডেলের মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করবে।

সুপ্রিম ট্রাস্ট সমস্ত আয়ের শেয়ার সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করবে।