ভারতীয় বংশোদ্ভূত উষা হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের ‘সেকেন্ড লেডি’

ভারতীয় বংশোদ্ভূত উষা হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের ‘সেকেন্ড লেডি’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয় উদযাপিত হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়িয়ে ভারতের একটি গ্রামে। কারণ, ট্রাম্পের সহ-প্রার্থী এবং হবু ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্সের স্ত্রী উষা চিলুকুরি ভ্যান্সের পূর্বপুরুষের বাড়ি অন্ধ্র প্রদেশের ভাদলুরু গ্রামে। গ্রামের মানুষজন তাদের মন্দিরে প্রার্থনা করে উষার সফলতার জন্য শুভকামনা জানান। গ্রামের বাসিন্দারা বিশ্বাস করেন যে উষা গ্রামের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবেন এবং তিনি তাদের গর্বের প্রতীক।

যুক্তরাষ্ট্র, ৬ নভেম্বর: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয় নিয়ে যখন দেশজুড়ে রিপাবলিকান শিবিরে চলছে উচ্ছ্বাস, তার প্রভাব পড়েছে ভারতের এক নিভৃত গ্রামেও। কারণ ট্রাম্পের সহ-প্রার্থী এবং আগামী ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্সের স্ত্রী উষা চিলুকুরি ভ্যান্সের শিকড় এই গ্রামে। যুক্তরাষ্ট্রের সানদিয়েগোতে জন্মগ্রহণ করলেও তার পূর্বপুরুষদের বাড়ি ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের ভাদলুরু গ্রামে।

৩৮ বছর বয়সী উষা ভ্যান্সের বাবা-মা ভারত থেকে অভিবাসী হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। গ্রামটি হোয়াইট হাউস থেকে প্রায় ১৩ হাজার ৪৫০ কিলোমিটার দূরে হলেও, ট্রাম্প ও উষার এই রাজনৈতিক সফলতা গ্রামের মানুষদের গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। ভাদলুরু গ্রামের মন্দিরে গণেশ দেবতার সামনে প্রদীপ প্রজ্বলন করে প্রার্থনা করেছেন গ্রামের মানুষরা। মন্দিরের পুরোহিত আপাজি বলেন, “আমরা আশা করি উষা তার শিকড়ের প্রতি দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে গ্রামের মঙ্গলার্থে কিছু করবেন, আর তা হলে দারুণ হবে।”

গ্রামের বাসিন্দা ৫৩ বছর বয়সী শ্রীনিভাসা রাজু বলেন, “আমরা অত্যন্ত খুশি। আমরা ট্রাম্পের বিজয়ে আনন্দিত এবং তাকে সমর্থন করি।”

৭০ বছর বয়সী আরেক বাসিন্দা ভেনকাটা রামানায় বলেন, “উষার জন্য আমরা গর্বিত, কারণ সে ভারতীয় বংশোদ্ভূত। আমরা আশা করি উষা তার গ্রামের উন্নতির জন্য কাজ করবেন।” রামানায় আরও বলেন, “আমরা ইতিমধ্যেই ট্রাম্পের শাসন দেখেছি। তখন ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় ছিল। আমরা বিশ্বাস করি এই সম্পর্ক আরও মজবুত হবে।”

ভাদলুরু গ্রামের মানুষদের জন্য উষা শুধু যুক্তরাষ্ট্রের ‘সেকেন্ড লেডি’ হতে যাচ্ছেন না, তিনি তাদের সংস্কৃতি ও গর্বের এক প্রতীক হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছেন। উষা ভ্যান্সের এই সাফল্য এবং তার পরিবারের শিকড়ের প্রতি এই গ্রামের আবেগ মিশ্রিত ভালোবাসা, তার শিকড়ের প্রতি দায়বদ্ধতার বহিঃপ্রকাশ হিসেবেই তারা এই আনন্দ উদযাপন করছেন।

তারিখ ০৭.১১.২০২৪