একুশে আইন: ঢাকায় উসকানিমূলক পোস্টারসহ ১০ জন গ্রেপ্তার

একুশে আইন: ঢাকায় উসকানিমূলক পোস্টারসহ ১০ জন গ্রেপ্তার

ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে উসকানিমূলক পোস্টার, ছবিসহ প্ল্যাকার্ড এবং নগদ অর্থসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। শনিবার রাতে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হওয়ার পর সন্দেহভাজন ব্যক্তিরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের ছবি ব্যবহার করে বিভ্রান্তিমূলক সমাবেশের পরিকল্পনা করছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনা বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সুসম্পর্ক বিনষ্টের অপচেষ্টার অংশ হিসেবে পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। উসকানিদাতা ও অর্থ যোগানদাতাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ঢাকা, ০৯ নভেম্বর ২০২৪: ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) জানিয়েছে, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে উসকানিমূলক পোস্টার, ছবি, প্ল্যাকার্ড এবং নগদ অর্থসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার রাতে ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখার উপপুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

ডিএমপির বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে দাবি করা হয়, তিনি দলের কর্মীদের একটি বিশেষ পরিকল্পনার নির্দেশ দিয়েছেন। ক্লিপে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের ছবি এবং দেশটির পতাকা ব্যবহার করে মিছিল-সমাবেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই সমাবেশে পোস্টার ও প্ল্যাকার্ড ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে এগুলো ভাঙচুর এবং অবমাননার চিত্র সংগ্রহ করার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।

পুলিশের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক নষ্ট করার উদ্দেশ্যে এ ধরনের অপতৎপরতা চালানোর পরিকল্পনা করেছিল। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এসব উসকানিমূলক কাজের পেছনে থাকা অর্থদাতা এবং অন্য সহযোগীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ডিএমপি জানায়, উসকানিদাতা ও এই ধরনের পরিকল্পনার মূলহোতা এবং তাদের অর্থ যোগানদাতা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তবে গ্রেপ্তারকৃতদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। পুলিশ মনে করছে, এই ঘটনা বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা এবং বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটানোর অপচেষ্টা।

ডিএমপির কর্মকর্তা আরও জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুল তথ্য ছড়ানো এবং দেশের সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে কিছু ব্যক্তি বারবার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই ধরনের কার্যকলাপ সাম্প্রতিককালে বেড়ে যাওয়ার কারণে পুলিশ এসব অপরাধীদের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং তারা গ্রেপ্তারের পাশাপাশি এর পিছনে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে।

ডিএমপির তরফ থেকে দেওয়া এই বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং যে কোনো উসকানিমূলক প্রচারণা রোধ করতে কাজ করে যাচ্ছে।

তারিখ: ১০.১১.২০২৪