চট্টগ্রামে সনাতন ধর্মালম্বীদের হয়রানি নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছেঃ ডয়চে ভেলে

চট্টগ্রামে সনাতন ধর্মালম্বীদের হয়রানি নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছেঃ ডয়চে ভেলে

চট্টগ্রামের হাজারী গলিতে এক ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে বিক্ষুব্ধ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষ হয়। ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন ওসমান আলী নামে একজন ব্যবসায়ীর ফেসবুক পোস্টে ইসকন নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্যের কারণে মিয়া শপিং সেন্টারে তার দোকান ঘেরাও করেন বিক্ষুব্ধ লোকজন। এই ঘটনায় হাজারী গলির ব্যবসায়ী ও স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা যৌথ বাহিনীর বিরুদ্ধে তাদের দোকান এবং সিসি ক্যামেরা ভাঙচুরের অভিযোগ তুলেছেন। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, যৌথ বাহিনী সিসি ক্যামেরা ভেঙে ফেলছে, যা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। উল্লেখ্য, ইসকন বিরোধী বক্তব্য সম্প্রতি বেশ কিছু জায়গায় আলোচিত হচ্ছে এবং এটি নিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে ক্ষোভ বৃদ্ধি পাচ্ছে।(সংবাদসূত্রঃ ডয়চে ভেলে)

চট্টগ্রাম, ৬ নভেম্বর: চট্টগ্রামের হাজারী গলিতে এক ফেসবুক পোস্ট নিয়ে শুরু হওয়া উত্তেজনা থেকে বিক্ষুব্ধ সনাতন ধর্মাবলম্বী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে বহু মানুষ আহত হন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানার টেরিবাজার এলাকার মিয়া শপিং সেন্টারে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ঘটনার পরপরই ৪৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় যখন ইসকন নিয়ে একটি ফেসবুক পোস্ট শেয়ার করায় স্থানীয় ব্যবসায়ী ওসমান আলীকে একদল বিক্ষুব্ধ ব্যক্তি তার দোকান অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যৌথ বাহিনী ঘটনাস্থলে গেলে উত্তেজিত জনতার সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাধে।

এদিকে পুলিশ ৪৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে, যেখানে সরকারি কাজে বাধা প্রদান, পুলিশের ওপর হামলা এবং এসিড নিক্ষেপের অভিযোগ আনা হয়েছে। পুলিশের উপ-কমিশনার (অপরাধ) রইছ উদ্দিন জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা সবাই ইসকন অনুসারী এবং তাদের বিরুদ্ধে সরকারী কাজে বাধা ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে।

এই ঘটনায় হাজারী গলির ব্যবসায়ী ও স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা যৌথ বাহিনীর বিরুদ্ধে তাদের দোকান এবং সিসি ক্যামেরা ভাঙচুরের অভিযোগ তুলেছেন। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, যৌথ বাহিনী সিসি ক্যামেরা ভেঙে ফেলছে, যা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ইসকন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী বলেন, “ইসকন এই ঘটনার সাথে কোনোভাবেই জড়িত নয়। আমরা চাই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে প্রকৃত দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।”

উল্লেখ্য, ইসকন বিরোধী বক্তব্য সম্প্রতি বেশ কিছু জায়গায় আলোচিত হচ্ছে এবং এটি নিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে ক্ষোভ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

তারিখ ০৬.১১.২০২৪