ভারতে অবৈধভাবে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ রোধে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির সহযোগিতা চেয়েছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এ ধরনের অনুরোধ আসার পর, দুই দেশের সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার ও সাম্প্রতিক উন্নয়নের আলোচনায় একাধিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভারতীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে গঠিত বিশেষ কমিটি বাংলাদেশি হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করবে। গত কয়েক মাসে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে বৈঠক ও সমন্বিত টহল কার্যক্রমও বাড়ানো হয়েছে।
ঢাকা, ৬ নভেম্বর: ভারতের সীমান্তে অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবিকে বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এই অনুরোধটি শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর, যখন বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলছে, এমন একটি সময়ে এসেছে।
ভারতের একাধিক সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, শুক্রবার বিএসএফ জানিয়েছে যে তারা বাংলাদেশ-ভারত চার হাজার ৯৬ কিলোমিটার সীমান্ত সুরক্ষিত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।
বিএসএফ আরও জানিয়েছে যে আগস্ট মাস থেকে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা দুই দেশের সীমান্তের বিভিন্ন স্পর্শকাতর পয়েন্টে ৭২২ দফায় বৈঠক করেছেন। এছাড়াও, এই সময়ে ১,৩৬৭টি সমন্বিত টহল পরিচালনা করা হয়েছে।
কলকাতায় অনুষ্ঠিত ভারতীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিযুক্ত একটি বিশেষ কমিটির বৈঠকের পর বিএসএফ জানিয়েছে যে এই টহলগুলো উভয় দেশের সীমান্ত অঞ্চলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়ক হয়েছে। বিএসএফ-এর বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “এসব সীমান্ত বৈঠকে বাংলাদেশি নাগরিকদের অবৈধভাবে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি কর্মকর্তাদের বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে।”
বিজিবি তাদের পক্ষ থেকে ভারতীয় নাগরিক এবং বাংলাদেশে বসবাসরত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে দুই বাহিনীর কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ বজায় রাখছেন এবং বিভিন্ন অপারেশনাল তথ্য আদান-প্রদান করছেন।
ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিএসএফের পূর্বাঞ্চলীয় সদর দপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালকের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করেছে, যা বাংলাদেশে বসবাসরত ভারতীয় নাগরিক এবং হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করবে।
এই কমিটি বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সুরক্ষায় বিশেষ মনোযোগ দেবে এবং সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
তারিখ ০৭.১১.২০২৪