ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বাজেট বরাদ্দে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতি বৈষম্যের অভিযোগ তুলেছে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ। তাদের দাবি, জনসংখ্যার অনুপাত অনুযায়ী সংখ্যালঘুদের জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ নেই, যা তাদের প্রতি অবজ্ঞা ও অবহেলার বহিঃপ্রকাশ। সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে একটি সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠনের দাবি জানানো হয়। এছাড়াও ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উন্নয়নে পর্যাপ্ত বরাদ্দের মাধ্যমে আর্থসামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
ঢাকা, ৬ নভেম্বর: ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বাজেট বরাদ্দে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতি বৈষম্যের অভিযোগ তুলেছে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ। সংগঠনটি বলছে, মন্ত্রণালয়ের মোট বাজেটের ৯৭.৮৭ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ধর্মীয় সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের জন্য, যেখানে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য বরাদ্দ মাত্র ২.১৩ শতাংশ। এই বৈষম্যের কারণে সংখ্যালঘুদের স্বার্থ রক্ষায় সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা প্রয়োজন বলে দাবি করেছেন তারা।
সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত এ বিষয়ে বলেন, ২০২১-২২ অর্থবছরে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ২৭৮.৬০ কোটি টাকার মোট পরিচালন ব্যয়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য বরাদ্দ ছিল ৬ কোটি ২ লাখ টাকা, যা মোট বাজেটের মাত্র ২.২৫ শতাংশ। এই বাজেট বরাদ্দে সংখ্যালঘুদের প্রতি সীমাহীন অবজ্ঞা ও বৈষম্যের ইঙ্গিত পাওয়া যায় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা ও উন্নয়নের জন্য ঐক্য পরিষদ একটি পৃথক সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছে। তাদের মতে, একটি সমতা ভিত্তিক সমাজ গঠনের জন্য সম্পদের সুষম বণ্টন নিশ্চিত করা প্রয়োজন, যাতে প্রতিটি সম্প্রদায়ের আর্থসামাজিক উন্নতি হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, সরকার যদি সংখ্যালঘুদের জন্য প্রতিশ্রুত সুরক্ষা আইন প্রণয়ন এবং বৈষম্য বিলোপ আইন বাস্তবায়ন করে, তাহলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতি বৈষম্যের অবসান ঘটানো সম্ভব হবে। এ ছাড়া সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় ২০০৮ সালের নির্বাচনের সময় সরকারি দল যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা বাস্তবায়নের দাবিও জানান রানা দাশগুপ্ত।
সংবাদ সম্মেলনে ঐক্য পরিষদের সভাপতি নিমচন্দ্র ভৌমিক বলেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সুরক্ষা ও গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সকল রাজনৈতিক দলেরই বাহাত্তরের সংবিধান মানতে হবে এবং ধর্মনিরপেক্ষতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
তারিখ ০৭.১১.২০২৪