বাংলাদেশে ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবি ঘিরে সাম্প্রতিক উত্তেজনা নতুন মাত্রা পেয়েছে। চট্টগ্রামে একটি ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া উত্তেজনা থেকে পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়ে উঠছে। ইসকনের পূর্বাঞ্চলীয় মুখপাত্র রাধারমণ দাস বিষয়টি আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মার্কিন রাজনীতিবিদ তুলসী গাবার্ডের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
চট্টগ্রাম, ১৫ নভেম্বর, ২০২৪: বাংলাদেশে ইসকন নিষিদ্ধ করার দাবিতে মৌলবাদী সংগঠনগুলোর উত্তেজনাপূর্ণ কার্যকলাপ ক্রমেই বাড়ছে। চট্টগ্রামে একটি সামাজিক পোস্ট নিয়ে উত্তেজনার পর পরিস্থিতি আরো ঘনীভূত হয়। ইসকনের পূর্বাঞ্চলীয় মুখপাত্র রাধারমণ দাস সামাজিক মাধ্যমে বিষয়টি তুলে ধরেন এবং আন্তর্জাতিক নেতাদের বিষয়টি জানাতে ট্যাগ করেন।
বাংলাদেশে ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবি ঘিরে সাম্প্রতিক উত্তেজনা নতুন মাত্রা পেয়েছে। চট্টগ্রামে একটি ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া উত্তেজনা থেকে পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়ে উঠছে। ইসকনের পূর্বাঞ্চলীয় মুখপাত্র রাধারমণ দাস বিষয়টি আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মার্কিন রাজনীতিবিদ তুলসী গাবার্ডের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
ঢাকার এক উগ্রপন্থী নেতা সম্প্রতি ইসকন নিষিদ্ধ না হলে “হত্যাযজ্ঞ” চালানোর হুমকি দেন। ঢাকা উলেমা ঐক্য পরিষদের একটি মানববন্ধনে দেওয়া ভাষণে ওই নেতা বলেন, “ইসকন নিষিদ্ধ না হলে ইসকন ভক্তদের গণহত্যা শুরু করা হবে।” রাধারমণ দাস এই বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন এবং এর বিরুদ্ধে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
৫ নভেম্বর চট্টগ্রামের স্থানীয় ব্যবসায়ী ওসমান আলির একটি ফেসবুক পোস্টে ইসকনকে “জঙ্গি সংগঠন” হিসেবে উল্লেখ করার পর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এর জেরে চট্টগ্রামের হাজারি গলি এলাকায় তার দোকানে হামলা হয়। পুলিশ ও সেনাবাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনায় প্রায় ১০০ সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়।
রাধারমণ দাস শেয়ার করা ভিডিও এবং বক্তব্য নিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন মহলে প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশে ইসকন নিষিদ্ধ করার দাবিতে মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলো একের পর এক উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছে।
চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর কার্যকলাপ নিয়ে একটি সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ পেয়েছে। সেখানে দেখা যায়, সেনা সদস্যরা খালি রাস্তায় তাণ্ডব চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ তোলা হয়। তবে, এই ফুটেজের সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি।
বাংলাদেশ সরকার এই বিষয়টিতে এখনো সরাসরি কোনো মন্তব্য করেনি। তবে পরিস্থিতি শান্ত রাখতে পুলিশ ও সেনাবাহিনী তৎপর রয়েছে। স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা ইসকনের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
এই পরিস্থিতি নিয়ে ভারতসহ আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে। রাধারমণ দাসের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে।
বাংলাদেশে ইসকন নিষিদ্ধ করার দাবি ঘিরে যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে, তা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। বিষয়টি আন্তর্জাতিক মহলেও গুরুত্ব পাচ্ছে, এবং শান্তি বজায় রাখতে সব পক্ষকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানানো হয়েছে।
তারিখ: ১৬.১১.২০২৪