খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবার উদযাপিত হলো শ্রী শ্রী শ্যামা পূজা

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবার উদযাপিত হলো শ্রী শ্রী শ্যামা পূজা

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো উদযাপিত হলো সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শ্রী শ্রী শ্যামা পূজা। সনাতন ধর্মের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মন্দিরে পূজার আয়োজন করা হয়, যা হিন্দু সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব। বিকেলে মন্দিরে প্রতিমা স্থাপনের মধ্য দিয়ে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় এবং সন্ধ্যায় দীপাবলি উপলক্ষে প্রদীপ প্রজ্বালন করে আত্মীয়-স্বজনদের স্মরণ করা হয়। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই পূজা ও দীপাবলির আয়োজনকে আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতির উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন।

খুলনা, ৩১ অক্টোবর: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো উদযাপিত হচ্ছে শ্রী শ্রী শ্যামা পূজা। সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের আয়োজনে এই পূজা অনুষ্ঠিত হয়, যা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসব। বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মন্দিরে প্রতিমা আনয়নের মাধ্যমে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। সন্ধ্যায় দীপাবলি উপলক্ষে প্রদীপ প্রজ্বালন করে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা তাঁদের প্রয়াত পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনদের স্মরণ করেন। রাত ৮টায় পূজার ঘটস্থাপন ও রাত ৯টায় পূজা শুরু হয়।

শ্যামা পূজা উপলক্ষে সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম। তিনি তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন, “এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এবারই প্রথম শ্যামা পূজা ও দীপাবলি উদযাপন হচ্ছে। এটি আমাদের দেশের সংস্কৃতি ও বাক স্বাধীনতার প্রতীক। এখানে সংখ্যাগুরু ও সংখ্যালঘু উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ তাঁদের ধর্মীয় উৎসব নির্বিঘ্নে পালন করতে পারেন।” তিনি সকলকে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানান এবং নিশ্চিত করেন যে কেউ যাতে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত না দেয়, সেই বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হারুনর রশিদ খান। অনুষ্ঠানটি মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. উত্তম কুমার মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. রামেশ্বর দেবনাথ এবং সাধারণ সম্পাদক দীপক চন্দ্র মন্ডলও বক্তব্য রাখেন। সূচনা বক্তব্য প্রদান করেন শিক্ষার্থী পায়েল রায়, এবং অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন শিক্ষার্থী গৌরব কুমার পাল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও এই পূজা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে শ্যামা পূজার এই আয়োজনকে বিশ্ববিদ্যালয় কমিউনিটির মাঝে আন্তঃধর্মীয় সহমর্মিতার প্রতীক হিসেবে দেখা হয়েছে। আগামীকাল শুক্রবার (১ নভেম্বর) বিকেল ৫টায় শ্যামা পূজা উপলক্ষে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে, যেখানে আরও শিক্ষার্থীরা তাঁদের সংস্কৃতির বৈচিত্র্যময় পরিবেশনা উপস্থাপন করবেন।

তারিখ ৩১.১০.২০২৪