নয়াদিল্লী, ৪ঠা অক্টোবর: দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনাকে অবাঞ্ছিত এবং উদ্বেগজনক হিসেবে চিহ্নিত করেছে ভারত। সম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, এই ধরনের ঘটনা উৎসবের প্রকৃত বার্তা দেয় না এবং এটি সামাজিক সম্প্রীতির জন্য ক্ষতিকর। ভারত সরকার বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং এই বিষয়ে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল বলেন, ‘এই ধরনের ঘটনা একেবারেই অনভিপ্রেত এবং সামাজিক সম্প্রীতির বার্তা দেয় না। আমরা আশা করি, বাংলাদেশ সরকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এবং এরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
সামাজিক সম্প্রীতির বার্তা ব্যাহত
রণধীর জয়সোয়াল আরও বলেন, দুর্গাপূজার মতো উৎসবগুলো সাধারণত শান্তি, সম্প্রীতি এবং বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে মিলনের বার্তা দেয়। কিন্তু প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা সেই উৎসবের মূল উদ্দেশ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এটি সামাজিক সম্প্রীতির বার্তার বিপরীতে কাজ করে এবং এ ধরনের ঘটনা বাংলাদেশ-ভারত উভয় দেশের সম্পর্কেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার দাবি
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে বাংলাদেশের প্রশাসনের কাছে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছে। মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা আশা করছি, বাংলাদেশ সরকার সংখ্যালঘুদের প্রতি যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এবং তাদের ওপর কোনো ধরনের আক্রমণ ও হেনস্তা যেন না হয়, সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে।’
কূটনৈতিক সম্পর্কের প্রসঙ্গ
ব্রিফিংয়ে ভারতসহ অন্যান্য দেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের ফেরত নেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে রণধীর জয়সোয়াল এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি বলেন, ‘যেকোনো দেশের কূটনীতিকদের নিযুক্তি, বদলি বা প্রত্যাহার করা সম্পূর্ণ তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমরা এর ওপর কোনো মন্তব্য করব না।’
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার বিষয়টি নিয়ে ভারতের উদ্বেগ প্রকাশ এবং সার্ক পুনরুজ্জীবন প্রসঙ্গে ভারতের মতামত বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই মন্তব্য বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিতে বাংলাদেশ সরকারকে চাপ দিচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে আঞ্চলিক সহযোগিতা ও সংহতি বৃদ্ধির জন্য ভারতের সার্কের পাশাপাশি বিমসটেককে গুরুত্ব দেওয়ার বিষয়টিও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
তারিখ ০৪.১০.২০২৪