মাদারীপুরে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের পৈতৃক ভিটা বিএনপি নেতার দখলে

মাদারীপুরে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের পৈতৃক ভিটা বিএনপি নেতার দখলে

মাদারীপুর, ৯ সেপ্টেম্বর: মাদারীপুরের ডাসার উপজেলায় বিএনপির নেতা সোহেল হাওলাদারের বিরুদ্ধে প্রখ্যাত কবি ও ঔপন্যাসিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের পৈতৃক ভিটা দখলের অভিযোগ উঠেছে। সোহেল হাওলাদার ও তার সহযোগীরা একটি টিনশেড ঘরে তালা ভেঙে প্রবেশ করেন এবং সুনীলের ব্যবহৃত সরঞ্জামাদি, বই ও ছবি ভাঙচুর করেন। পরে ওই ঘরে ওএমএসের চাল মজুত করা হয়। স্থানীয় প্রশাসন ঘটনাটি সম্পর্কে অবগত হয়ে তদন্ত শুরু করেছে এবং জেলা প্রশাসক দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। সাহিত্যপ্রেমীরা দখলদারদের শাস্তি নিশ্চিত করে লেখকের পৈতৃক ভিটা পুনরুদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন।

মাদারীপুরের ডাসার উপজেলায় বিএনপির নেতা সোহেল হাওলাদারের বিরুদ্ধে প্রখ্যাত সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের পৈতৃক ভিটা দখলের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সূত্র ও প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের পৈতৃক ভিটা পূর্ব মাইজপাড়া গ্রামে অবস্থিত। শনিবার দুপুরে সোহেল হাওলাদার ও তার সহযোগীরা একটি টিনশেড ঘরে তালা ভেঙে প্রবেশ করেন। এরপর তারা ঘরের ভেতরে থাকা সুনীলের ব্যবহৃত বই, আসবাব ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিসহ বিভিন্ন সামগ্রী ভাঙচুর করেন। পরে তারা ঘরটিতে ওএমএসের এক ট্রাক চাল রেখে নতুন তালা লাগিয়ে দেন।

স্থানীয় এক ব্যক্তি, যিনি সুনীলের ভিটা দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন, জানান, সরকার পরিবর্তনের পর থেকেই সোহেল হাওলাদার জমিটি নিজের বলে দাবি করে আসছিলেন। তার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের কর্মী–সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলার অভিযোগও রয়েছে, যা ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস করেনি। স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ এবং জেলা প্রশাসন ঘটনাটি সম্পর্কে অবগত হওয়ার পর দ্রুত তদন্ত শুরু করেছে।

মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মারুফুর রশীদ খান বলেন, “সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের পৈতৃক ভিটা দখলের খবর আমরা পেয়েছি। দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ইউএনও এবং এসি ল্যান্ডকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে দখলমুক্ত করার উদ্যোগ নেবেন বলে জানা গেছে।

এ ঘটনায় জেলার সাহিত্যপ্রেমী ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তারা সুনীলের পৈতৃক ভিটা সংরক্ষণের দাবি জানিয়ে বলেন, এটি বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাঁরা দখলদারদের শাস্তি নিশ্চিত করে লেখকের শেষ স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষণের আহ্বান জানিয়েছেন।

সূত্র: প্রথম আলো

তারিখ ০৯.০৯.২০২৪