ঢাকা মেডিকেলে হামলা: সন্দেহের ঘেরাটোপে গ্রেপ্তার সঞ্জয় পাল জয়

ঢাকা মেডিকেলে হামলা: সন্দেহের ঘেরাটোপে গ্রেপ্তার সঞ্জয় পাল জয়

ঢাকা, ২ সেপ্টেম্বর: গত শনিবার রাতে ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসকদের ওপর একাধিকবার হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সঞ্জয় পাল জয়কে হামলায় জড়িত থাকার সন্দেহে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে, তাকে নিয়ে কিছু প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয়দের মতে, সঞ্জয় পাল জয় আসলেই হামলার সঙ্গে জড়িত কি না, তা নিয়ে এখনো কিছুটা সন্দেহ রয়েছে। হামলার সময়ের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ বা সাক্ষ্য পাওয়া এখনো বাকি। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে তার গ্রেপ্তার নিয়ে কিছু মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে, বিশেষ করে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের সুনির্দিষ্ট প্রমাণের অভাব নিয়ে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসকদের ওপর হামলার ঘটনায় সঞ্জয় পাল জয় নামে একজনকে গাইবান্ধা জেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসকদের ওপর একাধিকবার হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটে, যা ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কাজ বন্ধ করার কারণ হয়। পরে অন্যান্য চিকিৎসকরাও তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করলে হাসপাতালের সব বিভাগে চিকিৎসা সেবা বন্ধ হয়ে যায়।

চিকিৎসকরা হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তি দাবি করেন এবং সারা দেশে চিকিৎসক ও রোগীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান। পরে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের আশ্বাসে তাদের কর্মবিরতি স্থগিত করা হয়। হামলার পর ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ২ প্ল্যাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

হামলার পর ইন্টার্ন চিকিৎসকরা এবং অন্যান্য চিকিৎসকরা হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তি দাবি করেন। এছাড়াও, সারা দেশে চিকিৎসক ও রোগীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য জোরালো দাবি ওঠে। তাদের দাবি পূরণের জন্য আশ্বাস না মেলায় রোববার দুপুরে চিকিৎসকরা ছয় দফা দাবি ঘোষণা করেন এবং সারা দেশে কমপ্লিট শাটডাউনের ঘোষণা দেন। তাদের এই আন্দোলনে ঢাকা মেডিকেলের নার্স ও কর্মচারীরাও একাত্মতা প্রকাশ করেন।

পরে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নুরজাহান বেগমের সঙ্গে বৈঠকের পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাদের কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি স্থগিত করেন। এদিকে, ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ২ প্ল্যাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃত সঞ্জয় পাল জয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে, তবে তার বিরুদ্ধে সন্দেহের মেঘ কাটতে আরও তদন্তের প্রয়োজন।

সূত্র: কালবেলা

তারিখ ০২.০৯.২০২৪