ঢাকা, ১২ সেপ্টেম্বর: আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর ব্যাপক হামলার ঘটনা ঘটেছে। ৫ আগস্ট থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত সংখ্যালঘু হিন্দু, খ্রিস্টান, ও আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ১ হাজার ৬৮টি ঘরবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, ও উপাসনালয়ে হামলা হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্তত ২২টি উপাসনালয়। হামলায় দুজন হিন্দু ধর্মাবলম্বী নিহত হয়েছেন। খুলনা বিভাগে সবচেয়ে বেশি হামলার ঘটনা ঘটেছে, যেখানে ২৯৫টি স্থাপনা ভাঙচুর ও লুটপাট হয়েছে। হামলাগুলো মূলত সরকার পতনের পর “বিজয় মিছিল” থেকে সংগঠিত হয়। হামলার শিকাররা হামলাকারীদের চিহ্নিত করলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে শাস্তি হয়নি।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর, বিশেষ করে ৫ আগস্টের পর থেকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর বিভিন্ন স্থানে হামলার ঘটনা ঘটে। প্রথম দুই দিনে হামলার মাত্রা সবচেয়ে বেশি ছিল। ৫ থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত অনুসন্ধান চালিয়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অন্তত ১ হাজার ৬৮টি ঘরবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। একই সময়ে ২২টি উপাসনালয়েও হামলা হয়।
এই সময়ের মধ্যে খুলনা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে, যেখানে সংখ্যালঘুদের ২৯৫টি স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে। রংপুরে ২১৯টি, ময়মনসিংহে ১৮৩টি, রাজশাহীতে ১৫৫টি এবং ঢাকায় ৭৮টি স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
হামলায় নিহত হয়েছেন দুজন। প্রথমজন বাগেরহাটের অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক মৃণাল কান্তি চ্যাটার্জি, যাকে ৫ আগস্ট রাতে হত্যা করা হয়। দ্বিতীয়জন খুলনার পাইকগাছার স্বপন কুমার বিশ্বাস, যাকে ৮ আগস্ট বাড়ি ফেরার পথে হত্যা করা হয়।
হামলার ঘটনা দেশের ৪৯টি জেলায় ঘটেছে। প্রতিবেদকরা ৫৪৬টি ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনা সরেজমিনে দেখে এবং বাকি তথ্য বিভিন্ন সূত্র থেকে সংগ্রহ করেছেন।
সূত্র: প্রথম আলো
তারিখ ১২.০৯.২০২৪