রাওয়ালপিন্ডি, ১ সেপ্টেম্বর: রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশ দল এক ভয়াবহ ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখোমুখি হলেও লিটন দাসের অসাধারণ সেঞ্চুরিতে ম্যাচে ফিরে এসেছে। মাত্র ২৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বিপর্যস্ত অবস্থায় থাকা দলকে টেনে তুলতে লিটন এবং মেহেদী হাসান মিরাজ মিলে ১৬৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন। এই জুটি বাংলাদেশের ফলোঅন এড়াতে সহায়ক হয় এবং দলের ভেতর থেকে ফিরে আসার সাহস যোগায়। শেষ পর্যন্ত লিটন অপরাজিত ১১৫ রানে দলের ইনিংস চালিয়ে যাচ্ছেন, যদিও মিরাজ ৭৮ রানে আউট হন। ম্যাচের তৃতীয় দিনে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ২৩৭ রান, যা এখনো পাকিস্তানের থেকে ৩৭ রানে পিছিয়ে।
রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনের সকালে বাংলাদেশ দল এক বড় বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়। পাকিস্তানকে ২৭৪ রানে অলআউট করার পর, মাত্র ২৬ রানে বাংলাদেশের ৬ উইকেট পড়ে যায়। সেই সময় দলের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন লিটন দাস। মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে তিনি ১৬৫ রানের এক অসাধারণ পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন। এই জুটি বাংলাদেশের ফলোঅন এড়াতে সহায়ক হয় এবং দলকে একটি শক্ত অবস্থানে নিয়ে আসে।
লিটন দাস ১১৫ রানে অপরাজিত থাকেন, যদিও মেহেদী হাসান মিরাজ দুর্ভাগ্যজনকভাবে ৭৮ রানে আউট হন। ম্যাচের এই অবস্থায় বাংলাদেশ ৭১ ওভারে ৮ উইকেটে ২৩৭ রান সংগ্রহ করে, তবে পাকিস্তানের চেয়ে এখনো ৩৭ রানে পিছিয়ে।
বাংলাদেশের এই ঘুরে দাঁড়ানো মুহূর্তে লিটন দাসের দৃঢ়তা এবং মেহেদী হাসান মিরাজের সহায়ক ভূমিকা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তাদের এই জুটি দলকে সংকটের ভেতর থেকে টেনে তুলে এক নতুন আশা জাগায়। বাংলাদেশ দল ফলোঅন এড়াতে সক্ষম হলেও ম্যাচের বর্তমান পরিস্থিতিতে শেষ দুই উইকেটের অবদান এবং লিটনের ইনিংস কতদূর যেতে পারে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
লিটন দাসের সংক্ষিপ্ত জীবনী
লিটন কুমার দাস (জন্ম: ১৩ অক্টোবর, ১৯৯৪) একজন বাংলাদেশি ক্রিকেটার। তিনি ডানহাতি ব্যাটার এবং উইকেট-কিপার হিসেবে পরিচিত। লিটন ২০১৫ সালের জুনে বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক করেন। ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর (১৭৬) করার গৌরব তাঁর। এছাড়াও তিনি মাত্র ১৮ বলে অর্ধশতক করে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বাংলাদেশের দ্রুততম ফিফটির রেকর্ডধারী। লিটন বর্তমানে বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়।
লিটন দাসের জন্ম দিনাজপুর জেলার একটি বাঙালি হিন্দু পরিবারে। তাঁর পিতা বাচ্চু চন্দ্র দাস এবং মাতা অনিতা দাস। লিটনের দুই ভাই রয়েছে। তিনি বিকেএসপিতে শিক্ষাগ্রহণ করেন এবং সেখানে বয়সভিত্তিক দলের হয়ে খেলেছেন।
ব্যক্তিগত জীবনে, লিটন ২০১৯ সালের জুলাই মাসে দেবশ্রী বিশ্বাস সঞ্চিতাকে বিবাহ করেন, যিনি মিরপুরে একজন কৃষিবিদ। ২০২৩ সালের নভেম্বরে তাদের পরিবারে একটি কন্যাসন্তান জন্মগ্রহণ করে।
সূত্র: কালবেলা
তারিখ ০১.০৯.২০২৪