মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনালাপের পর মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন, বাংলাদেশে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে তারা আলোচনা করেছেন এবং সংখ্যালঘু, বিশেষ করে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে ভারতে চলে আসার পর বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন ও ধর্মীয় স্থাপনা ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে, যেখানে কিছু রাজনৈতিক দলের নাম উঠে আসে। মোদি ১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবসের ভাষণেও এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং বাংলাদেশে দ্রুত স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফেরানোর আহ্বান জানান।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনালাপের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মঙ্গলবার এক্স (পূর্বে টুইটার) হ্যান্ডলে জানিয়েছেন, তারা বিভিন্ন আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছেন। বিশেষত, বাংলাদেশে চলমান সংকট এবং সেখানে সংখ্যালঘু, বিশেষ করে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর তারা গুরুত্বারোপ করেছেন।
৫ আগস্ট জনবিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে চলে আসেন। এর পর থেকেই বাংলাদেশে হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণ এবং ধর্মীয় স্থাপনা ভাঙচুরের একাধিক ঘটনা ঘটে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, এসব আক্রমণের পেছনে কিছু কট্টরপন্থী দলের সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠেছে।
ভারতের ৭৮তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ১৫ আগস্ট দিল্লির লালকেল্লা থেকে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী মোদি বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “১৪০ কোটি ভারতীয় বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত। ভারত সবসময় বাংলাদেশের অগ্রগতি ও স্থিতিশীলতা কামনা করে। আমরা আশা করি, বাংলাদেশে পরিস্থিতি শীঘ্রই স্বাভাবিক হবে এবং সেখানে হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।”
মোদি তার বক্তব্যে আরও বলেন, ভারত বাংলাদেশের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে এবং দেশটির উন্নয়নে সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সূত্র: আনন্দবাজার
তারিখ ২৭.০৮.২০২৪