আমাদের সেবাসমূহ

নির্যাতিত মানুষকে সাহায্য

আমরা এমন একটি দেশ চাই, যেখানে সব ধর্ম ও জাতির সমান অধিকার নিশ্চিত থাকবে। যেখানে এটা সম্ভব হবে না, সেখানে আমরা নিপীড়িতদের সবধরনের সাহায্য করব এবং প্রয়োজনে অত্যাচারিত পরিবারকে অন্যত্র স্থানান্তরে সহায়তা করব।

অসহায়দের লিগ্যাল এইড

নির্যাতিত ব্যক্তিদের জন্য লিগাল সেলের মাধ্যমে ফ্রি আইনি সহায়তা প্রদান করা হবে। আমাদের ভলান্টিয়ার আইনজীবীরা বিনামূল্যে বা স্বল্প খরচে এই সেবা দেবেন।

নির্যাতিতদের অন্যত্র স্থানাম্তর

অসহায় মানুষের জন্য কুম্ভীরাশ্রু না ফেলে, তাদের পাশে থেকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করা হবে। যদি নির্যাতিত পরিবারের জীবন বিপন্ন হয়, তাহলে তাদের অন্যত্র স্থানান্তরে সহায়তা করা হবে।

নিপীড়নের বিরুদ্ধে জনমত গঠন

সংবাদপত্র এবং সোশাল মিডিয়ার সাহায্য নিয়ে স্থানীয় এডমিনিস্ট্রেশনের উপর চাপ প্রয়োগ করা হবে অত্যাচারিত মানুষের সমর্থনে। অত্যাচারের বিপক্ষে সংবাদপত্র এবং সোশাল মিডিয়াতে জনমত গঠন করা হবে।

গণতান্ত্রিকভাবে স্থানীয় ট্রাস্ট গঠন

বাংলাদেশের প্রতিটি থানার দেবোত্তর সম্পত্তি সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য স্থানীয় সম্প্রদায়কে সংঘবদ্ধ করে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে গণতান্ত্রিকভাবে কমিটি গঠন করা হবে। এই কমিটি আমাদের সহযোগিতায় আইনগতভাবে স্থানীয় ট্রাস্ট নিবন্ধন করবে।

দেবোত্তর সম্পত্তি রক্ষা এবং কর্মসংস্থান

অব্যবহৃত দেবোত্তর সম্পত্তিকে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করে আয় বাড়ানো এবং বেদখল থেকে রক্ষা করা। স্থানীয় ট্রাস্ট, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে যৌথভাবে ফ্র্যাঞ্চাইজি মডেল তৈরি করে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করা।

নির্যাতিত মানুষকে সাহায্য

গ্রাম লেভেল পর্যন্ত কমিউনিটির সমস্ত পরিবারের ডাটাবেস গঠন করা হবে। নির্যাতিত ব্যক্তিদের ফ্রি আইনি সাহায্য করা হবে লিগাল সেলের মাধ্যমে। স্থানীয় এডমিনিস্ট্রেশনের উপর চাপ প্রয়োগ করা হবে অত্যাচারিত মানুষের সমর্থনে। অত্যাচারের বিপক্ষে সংবাদপত্র এবং সোশাল মিডিয়াতে জনমত গঠন করা হবে। প্রয়োজনে অত্যাচারিত পরিবারকে অন্যত্র স্থানাম্তরে সহযোগিতা করা হবে। নিপীড়িতদের উপর নির্যাতন সংক্রান্ত ঘটনা শনাক্ত করা ও সেটির প্রসার বন্ধ করার জন্য প্রচেষ্টা কখনও থেমে থাকে না। আমাদের ভলান্টিয়াররা এজন্য অক্লান্ত কাজ করবেন। সরকার, আইন প্রনয়ণকারী, অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ও শিল্পজগতের প্রত্যেকের এই কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। নতুন ট্রেন্ড ও হুমকির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আমরা ক্রমাগত আমাদের সিস্টেম ও নীতি পর্যালোচনা করব এবং সেগুলিতে পরিবর্তন করব।

অসহায়দের লিগ্যাল এইড

নির্যাতিত ব্যক্তিদের ফ্রি আইনি সাহায্য করা হবে লিগাল সেলের মাধ্যমে। আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার প্রতিটি নাগরিকের অন্যতম মৌলিক অধিকার। বাংলাদেশ সংবিধানের ২৭ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী। কিন্তু এমন অনেক দরিদ্র ও সুবিধা বঞ্চিত মানুষ রয়েছেন যারা অর্থের অভাবে আইনজীবী নিয়োগ করতে পারেন না। আমাদের ভলান্টিয়ার আইনজীবিদের মাধ্যমে বিনামূল্যে বা স্বল্প খরচে আইনগত সহায়তা প্রদান করা হবে। প্রয়োজনে “আইনগত সহায়তা প্রদান আইন, ২০০০” এর অধীনে প্রত্যেক জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে লিগ্যাল এইড অফিসের মাধ্যমে আইনগত সহায়তা প্রদান করার ব্যবস্থা করা হবে।

নির্যাতিতদের অন্যত্র স্থানাম্তর

নির্যাতিত ব্যক্তিদের সবরকম সাহায্য করা হবে। তারপরও যদি দেখা যায়, তাদের বা তাদের পরিবারের জীবনসংশয় রয়েছে, অত্যাচারিত পরিবারকে অন্যত্র স্থানাম্তরে সহযোগিতা করা হবে। নতুন জায়গায় তাকে পুরোপুরি সেটেল করানোর জন্য সবরকম সাহায্য করা হবে। আর্থিকভাবে দূর্বল পরিবারকে নিরাপদ কাজ এবং ব্যবসায়ের সুযোগ করে দেওয়া হবে। এজন্য সরকার, অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ও শিল্পজগতের প্রত্যেকের কাছ থেকে সহযোগিতা নেবার চেষ্টা করা হবে।

নিপীড়নের বিরুদ্ধে জনমত গঠন

গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে ক্ষমতা বা শক্তির মূল প্রতিভূ জনগণ, সুতরাং নিপীড়িত মানুষের পক্ষে মতামত গঠনের জন্য তাদের কাছে পৌঁছানো জন্য প্রয়োজন হয় সোশাল নেটোয়ার্কিং মাধ্যম ও সংবাদ মাধ্যমের। সংবাদমাধ্যম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে শক্তির প্রধান উৎস সাধারণ জনগণের সঙ্গে নির্বাচিত শাসকগোষ্ঠীর সংযোগ রক্ষা করে বলেই হয়তো একে গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ বলা হয়ে থাকে। এসব মাধ্যমের সাহায্য নিয়ে স্থানীয় এডমিনিস্ট্রেশনের উপর চাপ প্রয়োগ করা হবে অত্যাচারিত মানুষের সমর্থনে। অত্যাচারের বিপক্ষে সংবাদপত্র এবং সোশাল মিডিয়াতে জনমত গঠন করা হবে।

গণতান্ত্রিকভাবে স্থানীয় ট্রাস্ট গঠন

স্থানীয় কমিউনিটির মানুষকে সংঘবদ্ধ করে সংখ্যাগুরু ভোটে গণতান্ত্রিকভাবে কমিটি গঠন করা হবে। স্থানীয় কমিটি আমাদের সহযোগিতায় আইনগতভাবে স্থানীয় ট্রাস্ট রেজেস্ট্রি করবে। স্থানীয় কমিটি গণতান্ত্রিকভাবে স্থানীয় ট্রাস্টের গভর্নিং বডিতে যোগ দেবে। আমাদের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার প্রস্তাব গভর্নিং বডিতে পেশ করা হবে। প্রস্তাব গৃহীত হলে, আমাদের সঙ্গে স্থানীয় ট্রাস্টের একটি মেমোরেন্ডাম অব আন্ডারস্টেন্ডিং স্বাক্ষর হবে। আমরা সমস্ত আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে স্থানীয় ট্রাস্টের সঙ্গে লিজ চুক্তি করব। আইনি চুক্তির মাধ্যমে স্থানীয় ট্রাস্ট তার জমির একাংশ/ বিল্ডিং ব্যবহার করার জন্য আমাদের দীর্ঘমেয়াদি লিজ দেবে, অল্প মাসিক ভাড়ায় এবং রাজস্বের অংশ হিসাবে। আমরা গ্যারান্টার হিসাবে মধ্যস্থা করে ইনভেস্টরের টাকা দিয়ে সেই জমি ডেভেলাপ করে ব্যবসায়ের উপযোগী করে তুলব।

দেবোত্তর সম্পত্তি রক্ষা এবং কর্মসংস্থান

আমরা স্থানীয় ট্রাস্ট, স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, ইনভেস্টারদের সঙ্গে যৌথভাবে ফ্র্যানচাইছি মডেল তৈরী করে বানিজ্যিক কর্মকান্ড পরিচালনা করব। আমরা সবার যোগসূত্র এবং গ্যারান্টার হিসাবে কাজ করব, প্রয়োজনীয় টেকনোলজি এবং লজিস্টিক দিয়ে সাহায্য করব। সারা বাংলাদেশ জুড়ে একই ব্র্যান্ডিং এর মাধ্যমে মার্কেটিং এবং পরিচালনা করব আমরা। প্রতিবছর যা আয় হবে, তার বেশীরভাগ ব্যবসায়ি নেবে, বাকী অংশ ইনভেস্টর, স্থানীয় ট্রাস্ট এবং আমরা ভাগ করে নেবো। আমরা স্থানীয় ইনভেস্টরদের সংঘবদ্ধ করে দেবোত্তর সম্পত্তিতে কনস্ট্রাকশান করব এবং সীমানা সিকিউরড করব। স্থানীয় মার্কেট বুঝে আমরা সেখানে স্কুল, হোটেল, রেস্টুরেন্ট, দোকান এবং অন্যান্য সার্ভিস চালাব। এতে দেবোত্তর সম্পত্তি বেদখল হতে বাঁচবে এবং আয় বাড়বে। বিভিন্ন সার্ভিস এবং পণ্য বিক্রয়ের ব্যবস্থা করা হবে এর মাধ্যমে।

আমাদিগকে পরোপকার করিতে হইবে; ইহাই আমাদের কর্মপ্রবৃত্তির সর্বোচ্চ প্রেরণা - স্বামী বিবেকানন্দ

যোগাযোগ

আপনি শুরু থেকেই আমাদের অংশ ছিলেন, অথবা আপনি কেবল শুরু করছেন, যেটাই হোক না কেনো, আপনি আমাদের সঙ্গেই আছেন। আপনার সহায়তায়, আমরাও পরিবর্তন আনতে পারি।

যোগাযোগ করুন