3️⃣ কমিটি কাঠামো
বাংলাদেশ হিন্দু সমাজ তিনটি শক্তিশালী কিন্তু ভারসাম্যপূর্ণ কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত হয়, যা গণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত, দীর্ঘমেয়াদি স্থিরতা এবং কার্যকর পরিচালনা নিশ্চিত করে।
👉 পার্মানেন্ট কমিটি থাকে: কেন্দ্র, জেলা, উপজেলা, সিটি ও ইউনিট পর্যায়ে
সংক্ষিপ্ত ধারণা
বাংলাদেশ হিন্দু সমাজ তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ও ভারসাম্যপূর্ণ কমিটির মাধ্যমে চলে। এগুলো একসঙ্গে গণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত, ধারাবাহিকতা এবং কাজের দক্ষতা নিশ্চিত করে।
🔹 তিন ধরনের কমিটি
1️⃣ সুপ্রিম কমিটি
প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টিদের নিয়ে গঠিত
আজীবন মেয়াদ
সর্বোচ্চ স্তরের নীতি নির্ধারণ করে
সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে সদস্য যোগ বা বাদ দিতে পারে
গঠনে থাকে:
- সুপ্রিম প্রেসিডেন্ট
- সুপ্রিম ভাইস-প্রেসিডেন্ট
- পার্মানেন্ট সদস্যরা
2️⃣ পার্মানেন্ট কমিটি
কেন্দ্র, জেলা, উপজেলা, সিটি ও ইউনিট—সকল স্তরে থাকে
সদস্যদের নিয়োগ দেন সুপ্রিম প্রেসিডেন্ট
আজীবন মেয়াদ
প্রধান উদ্দেশ্য:
- ধারাবাহিকতা বজায় রাখা
- তত্ত্বাবধান করা
- সংবিধানিক শুদ্ধতা রক্ষা করা
২/৩ ভোটে এক্সিকিউটিভ কমিটির সিদ্ধান্ত বাতিল করতে পারে
3️⃣ এক্সিকিউটিভ কমিটি
- দৈনন্দিন পরিচালনা ও নেতৃত্বের দায়িত্বে
- কেন্দ্র, জেলা, উপজেলা, সিটি ও ইউনিট—সকল স্তরে থাকে
- সভাপতি প্রতি বছর নির্বাচিত হন
- সর্বোচ্চ ১০ জন সদস্য নিয়োগ দিতে পারেন
- দৈনন্দিন কাজ, উন্নয়ন প্রকল্প, ক্যাম্পেইন পরিচালনা করে
- সভাপতির ভেটো ক্ষমতা থাকে
- সভাপতি পার্মানেন্ট কমিটিকে ২৪ ঘণ্টা আগে জানিয়ে সদস্য যোগ বা বাদ দিতে পারেন