1️⃣ সদস্যপদ ব্যবস্থা
প্রতিটি নতুন সদস্যকে অবশ্যই একজন বিদ্যমান সদস্য পরিচয় করিয়ে দেবেন।
সংক্ষিপ্ত ধারণা
বাংলাদেশ হিন্দু সমাজের সদস্যপদ কাঠামো নিশ্চিত করে যে যেকোনো ব্যক্তি একটি পরিষ্কার, সুশৃঙ্খল ও কমিউনিটি-কেন্দ্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যুক্ত হতে পারেন। সদস্যরা তাদের কাজের ধরন, অবদান ও সেবার মনোভাব অনুযায়ী ভিন্ন ভূমিকা নেন।
🔹 সদস্য পরিচিতি নিয়ম
- প্রতিটি নতুন সদস্যকে বিদ্যমান সদস্য পরিচয় করিয়ে দেবেন।
- শুরুতে সুপ্রিম প্রেসিডেন্ট একমাত্র পরিচয়দাতা হিসেবে কাজ করবেন।
- একজন সদস্য এক সময়ে শুধু একটি ইউনিটে থাকতে পারেন, তবে চাইলে ইউনিট বদলাতে পারবেন এবং সুবিধা হারাবেন না।
🔹 ভোটিং ক্ষমতা কাঠামো
যে সদস্য যতজনকে পরিচয় করিয়ে দেবেন, তার ভোটিং ক্ষমতা তত বাড়বে:
যদি A মোট ১০০ জনকে পরিচয় করান → ভোটিং ক্ষমতা = ১০১
যদি B কাউকে পরিচয় না করান → ভোটিং ক্ষমতা = ১
ভোটিং ক্ষমতা পরবর্তী স্তরের সদস্য পরিচিতি থেকেও বাড়তে থাকে:
- যদি A-এর ১০০ সদস্য আরও ১০০০ জনকে পরিচয় করান → A-এর ভোটিং ক্ষমতা হবে ১১০১
এতে একটি স্বচ্ছ, যোগ্যতা-ভিত্তিক নেতৃত্ব কাঠামো তৈরি হয়।
🔹 সদস্যদের তিন ধরন
1️⃣ Friend (সহযোগী)
- কোনো ফি নেই
- ভোট দিতে পারবেন না, নির্বাচনেও দাঁড়াতে পারবেন না
- কোনো সুবিধা দাবি করতে পারবেন না
- মূল ভূমিকা: নৈতিক সহযোগিতা ও শুভেচ্ছা
2️⃣ Beneficiary (সুবিধাভোগী)
- সদস্যপদ ফি প্রদান করেন
- ভোট দিতে পারেন
- নির্বাচন করতে পারেন না
- কমিউনিটি সেবা ও সুবিধা পেতে পারেন
3️⃣ Volunteer (স্বেচ্ছাসেবক)
- সদস্যপদ ফি প্রদান করেন
- ভোট দিতে পারেন
- শুধু স্বেচ্ছাসেবকরাই নির্বাচন করতে পারবেন
- কোনো সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন না
- প্রধান ভূমিকা: সেবা, নেতৃত্ব, কমিউনিটি কাজ
🔹 সদস্যপদ প্রক্রিয়া
বিদ্যমান সদস্য নতুন ব্যক্তিকে Friend হিসেবে নিবন্ধন করেন।
Friend যদি সেবা বা সহায়তা চান → ইউনিট কমিটি তাকে Beneficiary করে দেয়।
ইউনিট কমিটি Friend-দের Volunteer হতে উৎসাহ দেয়।
Volunteer হতে হলে:
- কমপক্ষে ১০ জন Friend পরিচয় করাতে হবে
- নির্বাচন করার আগে ১ বছর সক্রিয়ভাবে সেবা করতে হবে
🔹 বার্ষিক নবায়ন
প্রতি বছর দুর্গাপূজা (অক্টোবর/নভেম্বর) সময়:
- সদস্যরা ক্যাটাগরি পরিবর্তন করতে পারবেন
- ইউনিট পরিবর্তন করতে পারবেন
- সব রেকর্ড হালনাগাদ হবে