স্বাগতম আমাদের সংবিধান অংশে — বাংলাদেশ হিন্দু সমাজ-এর গঠন, নেতৃত্ব
নির্বাচন, সদস্যপদ ব্যবস্থা এবং বিভিন্ন কমিটির দায়িত্ববণ্টন সম্পর্কে এখানে স্পষ্ট
ধারণা দেওয়া হয়েছে। এই অংশের লক্ষ্য সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও পরিচালনার নিয়ম
পরিষ্কারভাবে তুলে ধরা।
বাংলাদেশ হিন্দু সমাজের সদস্যপদ কাঠামো এমনভাবে সাজানো যে সবাই একটি সংগঠিত, স্বচ্ছ ও কমিউনিটি-ভিত্তিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যুক্ত হতে পারে। সদস্যরা তাদের অংশগ্রহণ, অবদান ও সেবা দেওয়ার প্রস্তুতি অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন ভূমিকা পালন করেন।
বাংলাদেশ হিন্দু সমাজ বহুস্তরভিত্তিক, গণতান্ত্রিক এবং ওজন-ভিত্তিক ভোটিং পদ্ধতি অনুসরণ করে। প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসে স্থানীয় ইউনিট থেকে কেন্দ্রীয় স্তর পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে নেতৃত্ব নির্বাচিত হয়।
বাংলাদেশ হিন্দু সমাজ তিনটি শক্তিশালী কিন্তু ভারসাম্যপূর্ণ কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত হয়, যা গণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত, দীর্ঘমেয়াদি স্থিরতা এবং কার্যকর পরিচালনা নিশ্চিত করে।
সমাজ একটি ধাপে সাজানো, উপর থেকে পরিচালিত কিন্তু স্থানীয়ভাবে ক্ষমতায়িত কাঠামোর মাধ্যমে চলে। প্রতিটি স্তর তার উপরের স্তরকে রিপোর্ট করে, ফলে সমন্বয় সহজ হয়।
বাংলাদেশ হিন্দু সমাজ একটি স্বচ্ছ রাজস্ব-বণ্টন মডেলে পরিচালিত হয়, যেখানে প্রতিটি স্তর প্রয়োজনীয় সম্পদ পায় এবং একই সঙ্গে উপরস্থ স্তরের কাছে জবাবদিহি বজায় থাকে।
প্রতি বছর ১ জানুয়ারি নবনির্বাচিত সভাপতি দায়িত্ব নেন এবং সঙ্গে সঙ্গে পরিকল্পিত আর্থিক প্রস্তুতি শুরু করেন।
সম্প্রসারিত এলাকায় বা সুবিধাবঞ্চিত অঞ্চলে কমিউনিটি সেবা বাড়াতে ও সংগঠনের পরিধি শক্তিশালী করতে নতুন ইউনিট গঠন করা হয়।
সমাজ অবহেলিত দেবোত্তর (হিন্দু ট্রাস্ট) সম্পত্তি রক্ষা, পুনর্জীবিত করা এবং অর্থনৈতিকভাবে সক্রিয় করতে কাজ করে।
এখানে বাংলাদেশ হিন্দু সমাজের পূর্ণ সংবিধানের একটি সহজ-সরল ইংরেজি সংস্করণের বাংলা রূপ দেওয়া হলো।
আমরা একটি সহজ নীতি অনুসরণ করি যাতে পক্ষপাত বা স্বার্থের সংঘর্ষ না হয়: যারা সুবিধা নেবে তারা সিদ্ধান্তে অংশ নেবে না; এবং যারা সিদ্ধান্ত নেবে তারা কোনো সুবিধা নেবে না।