যশোরেশ্বরী শক্তিপীঠ, সাতক্ষীরা
যশোরেশ্বরী শক্তিপীঠ সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ঈশ্বরীপুর গ্রামে অবস্থিত। যশোরেশ্বরী নামের অর্থ “যশোরের দেবী”। এখানে সতীর করকমল বা পাণিপদ্ম পতিত হয়। এখানে দেবীর নাম যশোরেশ্বরী, ভৈরব হলেন চণ্ড।
শক্তিপীঠসমূহ : শক্তির সাধনা ও পবিত্র তীর্থভ্রমণ
হিন্দুধর্মের শক্তি–উপাসনার মূল কেন্দ্রগুলি হল শক্তিপীঠ। দেবী সতীর দেহাংশ বা অলৌকিক শক্তির প্রতীকী প্রকাশস্থল হিসেবে পরিচিত এই তীর্থগুলি ভক্তদের আস্থার, সাধনার এবং আধ্যাত্মিক জাগরণের অনন্য কেন্দ্র। এই বিভাগে আমরা ভারতের বিভিন্ন শক্তিপীঠের ইতিহাস, পুরাণকথা, ধর্মীয় গুরুত্ব, যাত্রাপথ ও দর্শনীয় স্থানসমূহ নিয়ে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত নিবন্ধসমূহ উপস্থাপন করছি।
যশোরেশ্বরী শক্তিপীঠ সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ঈশ্বরীপুর গ্রামে অবস্থিত। যশোরেশ্বরী নামের অর্থ “যশোরের দেবী”। এখানে সতীর করকমল বা পাণিপদ্ম পতিত হয়। এখানে দেবীর নাম যশোরেশ্বরী, ভৈরব হলেন চণ্ড।
শ্রীশৈল বাংলাদেশের সিলেট শহরের ৩ কি.মি. উত্তর-পূর্বে দক্ষিণ সুরমা জৈনপুর গ্রামে অবস্থিত একটি শক্তিপীঠ। এখানে সতী দেবীর গ্রীবা (গন্ডদেশের পেছন দিক) পতিত হয়েছিল। এখানে দেবী মহালক্ষ্মী ও ভৈরব সর্বানন্দ।
সুগন্ধা শক্তিপীঠ বাংলাদেশের বরিশালের ১০ মাইল উত্তরে শিকারপুর গ্রামে অবস্থিত। এখানে সতী দেবীর নাসিকা পতিত হয়েছিল । এখানে দেবী সুনন্দা ও ভৈরব ত্র্যম্বক। এখানকার ভৈরব ত্রয়ম্বক যার মন্দিরটি ঝালকাঠি থেকে ৫ মাইল দক্ষিণে পোনাবালিয়ায় অবস্থিত।
ভবানীপুর শক্তিপীঠ বাংলাদেশের বগুড়া জেলার শেরপুরে করতোয়াতটে অবস্থিত সতী মাতা তারার একান্ন শক্তিপীঠের অন্যতম। এখানে সতীর বাম পায়ের নূপুর পতিত হয়। এখানে দেবীর নাম অপর্ণা, ভৈরব হলেন বামেশ (বামন)।
বাংলাদেশের সীতাকুন্ডের নিকটে চন্দ্রনাথ পাহাড়ের উপরে অবস্থিত চন্দ্রনাথ মন্দির অন্যতম বিখ্যাত শক্তিপীঠ। এই স্থানে দেবীর ডান হাত পতিত হয়েছে। এই পীঠের অধিষ্ঠাত্রী দেবীর নাম ভবানী এবং পীঠরক্ষক ভৈরবের নাম চন্দ্রশেখর।