হিন্দুবার্তা
বাংলাদেশ হিন্দু সমাজের মুখপত্র
কীভাবে Telegram অ্যাকাউন্ট সেটআপ করবেন
বাংলাদেশ হিন্দু সমাজের সদস্য হতে গেলে আপনার একটি টেলিগ্রাম একাউন্ট থাকা আবশ্যক। কারন সদস্যদের মধ্যকার সমস্ত যোগাযোগ একমাত্র টেলিগ্রামের মাধ্যমেই হয়। আমরা সবাই রিমোট ওয়ার্ক প্রণালীতে (remote work mode) কাজ করি। আপনি যেখানেই থাকুন না কেনো, আপনি আপনার হোম ডিস্ট্রিকের জন্য কাজ করতে পারবেন দূরে থেকেও। আমাদের সমস্ত সাপ্তাহিক মিটিং হবে টেলিগ্রাম গ্রুপ ভিডিও / অডিও কলে। মুখোমুখি মিটিং হবে প্রতি মাসের প্রথম শুক্রবার অথবা কোন বিশেষ অনুষ্টানে।
আরও পড়ুনচুয়াডাঙ্গায় হিন্দু গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা, নগদ অর্থ-স্বর্ণালংকার লুট
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়া ইউনিয়নের দৌলাতদিয়াড় গ্রামের এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আজ রোববার সকাল ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে অঞ্জলি প্রামাণিক (৫০) নামের এই নারীকে দুর্বৃত্তরা হত্যা করে এবং বাড়ি থেকে ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। ঘটনা জানাজানি হলে পুলিশসহ গোয়েন্দা বিভাগের একাধিক ইউনিট ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং তদন্ত কাজ শুরু করে। নিহতের পরিবার শোকাহত ও আতঙ্কিত অবস্থায় রয়েছেন।
আরও পড়ুনবাংলাদেশের হিন্দুদের পাশে দাঁড়াতে হবে ভারত ও বিশ্ব হিন্দুদের: মোহন ভাগবত
আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত বলেছেন, বাংলাদেশে নির্যাতিত হিন্দু সংখ্যালঘুদের পাশে দাঁড়াতে হবে ভারত সরকার ও বিশ্বজুড়ে হিন্দুদের। দশেরার এক সমাবেশে তিনি বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সহিংসতার প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, এই নির্যাতন দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে, এবং যতক্ষণ না কট্টরপন্থী মানসিকতা দূর হচ্ছে, হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের বিপদ কাটবে না। তিনি অবৈধ অনুপ্রবেশ ও তার ফলে ভারতে জনসংখ্যা ভারসাম্যহীনতার বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ভাগবত বলেন, হিন্দুরা যদি ঐক্যবদ্ধ না থাকে, তবে নির্যাতনের শিকার হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে।
আরও পড়ুনদুর্গাপূজার পর ছিনতাইকারী ও চাঁদাবাজ ধরতে সাঁড়াশি অভিযান
দুর্গাপূজা শেষ হওয়ার পর দেশব্যাপী ছিনতাই, মাদক, ও চাঁদাবাজদের ধরতে সাঁড়াশি অভিযান চালানোর ঘোষণা দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ময়নুল ইসলাম। পূজার সময়কালে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে জানিয়ে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি ঘটনায় তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পূজা চলাকালে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন প্রায় তিন লাখ সদস্য। আইজিপি দৃঢ়ভাবে বলেন, অপরাধীরা কোনোভাবেই ছাড় পাবে না, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে, রাজনৈতিক পরিচয়েও কেউ রেহাই পাবে না।
আরও পড়ুননেত্রকোনায় ভারত অনুপ্রবেশের চেষ্টায় বাবা-মেয়েসহ আটক ৫
নেত্রকোনার দুর্গাপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে, যাদের মধ্যে একজন ভারতীয়ও রয়েছেন। বিজিবি তাদের আটক করে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। তাদের কাছ থেকে বাংলাদেশি ও ভারতীয় মুদ্রা এবং মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে এবং গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আটক ব্যক্তিরা হলেন, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আলীপুর জেলার শামুকতলা উপজেলার বিনয় কৃষ্ণ দেবনাথ (৫৬), নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার বাড়ইপাড়া গ্রামের জীবন দেবনাথ (২২), কলমাকান্দা উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের অজিত দেবনাথ (৫২), একই গ্রামের পরিমল দেবনাথ (৪৫) ও তাঁর মেয়ে প্রিয়াঙ্কা দেবনাথ (১৬)।
আরও পড়ুনঢাকায় পূজামণ্ডপে হামলা ও সাতক্ষীরায় মুকুট চুরিতে ভারতের উদ্বেগ
ঢাকার তাঁতীবাজারে পূজামণ্ডপে পেট্রলবোমা হামলা এবং সাতক্ষীরার যশোরেশ্বরী কালীমন্দিরে স্বর্ণের মুকুট চুরির ঘটনায় ভারতের গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এই হামলা ও চুরির ঘটনা হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় স্থানগুলোতে পরিকল্পিত আক্রমণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও তাদের উপাসনালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল এই বিবৃতি এক্স (পূর্বের টুইটার)-এ প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুনময়মনসিংহে সাংবাদিক স্বপন কুমার ভদ্রকে কুপিয়ে হত্যা
ময়মনসিংহ সদর উপজেলার শম্ভুগঞ্জের মাঝিপাড়া এলাকায় নিজ বাসার সামনে সাংবাদিক স্বপন কুমার ভদ্র (৬৫) কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে ঘটে যাওয়া এই নৃশংস ঘটনায় এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পরিবার দাবি করেছে, ফেসবুকে লেখালেখির কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পর পুলিশ এক তরুণকে আটক করেছে। হত্যাকাণ্ডটি এলাকায় ব্যাপক শোক ও আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। পুলিশ ও স্থানীয়দের দাবি, আটককৃত সাগর মিয়া একজন বখাটে ও মাদকাসক্ত হিসেবে পরিচিত। ঘটনার তদন্ত চলছে।
আরও পড়ুনবাংলাদেশের মন্দির থেকে কালী মায়ের মুকুট চুরি, গভীর ষড়যন্ত্রের আভাস
বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার যশোরেশ্বরী কালী মন্দির থেকে দেবী কালী মায়ের মুকুট চুরি যাওয়ার ঘটনাটি হিন্দু সম্প্রদায়কে মর্মাহত করেছে। মুকুটটি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপহার হওয়ায় এর গুরুত্ব আরও বেড়েছে। এই ঘটনা সাধারণ চুরি নয়, বরং হিন্দুদের বিরুদ্ধে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মনে করা হচ্ছে। ভারতের পক্ষ থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে এবং বাংলাদেশকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানানো হয়েছে। চুরির ঘটনা এবং সাম্প্রতিক কালে হিন্দুদের ওপর চলা নির্যাতন এবং মন্দির ভাঙচুরের খবর এই ষড়যন্ত্রের দিকে ইঙ্গিত করছে। সুত্র: [আইএএনএস]
আরও পড়ুনবাংলাদেশের হিন্দুদের সংগ্রামের প্রতিচ্ছবি আসামের ধুবড়ি পূজামণ্ডপে
আসামের ধুবড়ির ৩ নম্বর বালুরচর সার্বজনীন দুর্গাপূজা মণ্ডপ এবার হিন্দুদের ঐতিহাসিক ও সমসাময়িক সংগ্রামের প্রতীক হয়ে উঠেছে। মণ্ডপটি বিশেষভাবে বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর সংঘটিত নির্যাতন এবং ১৯৪৭ সালের দেশভাগের সময় ঢাকেশ্বরী প্রতিমার কলকাতায় স্থানান্তরের ঘটনা তুলে ধরেছে। পাশাপাশি সাম্প্রতিক ছাত্র আন্দোলনের সময় বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর ঘটে যাওয়া সহিংসতার কথাও স্মরণ করিয়েছে। মণ্ডপটির নকশা ও শিল্পকর্ম দর্শকদের মধ্যে ইতিহাস, ধর্ম, এবং সামাজিক অন্যায়ের ওপর সচেতনতা সৃষ্টি করেছে।
আরও পড়ুনসাতক্ষীরায় মোদির উপহার দেওয়া স্বর্ণমুকুট চুরি, ভারতীয় হাইকমিশনের উদ্বেগ
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার যশোরেশ্বরী কালীমন্দির থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপহার দেওয়া স্বর্ণমুকুট চুরি হয়েছে, যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন। ২০২১ সালে নরেন্দ্র মোদি এই মুকুটটি দেবীর মূর্তিতে পরিয়ে দেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে চুরি হওয়া মুকুট এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ভারতীয় হাইকমিশন এই চুরির দ্রুত তদন্ত ও ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে। শুক্রবার দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার)-এ দেওয়া একটি পোস্টে ভারতীয় হাইকমিশন এই প্রতিক্রিয়া জানায়।
আরও পড়ুনতাঁতীবাজারে পূজামণ্ডপে পেট্রলবোমা হামলা, ছুরিকাঘাতে আহত ৫
পুরান ঢাকার তাঁতীবাজারে দুর্গাপূজার মণ্ডপে শুক্রবার সন্ধ্যায় পেট্রলবোমা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। যদিও পেট্রলবোমাটি বিস্ফোরিত হয়নি, ঘটনার পরপরই পূজা উদ্যাপন কমিটির স্বেচ্ছাসেবকরা হামলাকারীদের ধরার চেষ্টা করলে তারা পালানোর সময় ছুরিকাঘাত করে। এতে পাঁচজন আহত হন, যাদের মধ্যে চারজন স্বেচ্ছাসেবক এবং একজন দর্শনার্থী রয়েছেন।। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করেছে এবং ঘটনার তদন্ত চলছে। স্থানীয়দের মতে, পূজামণ্ডপে নাশকতার উদ্দেশ্যে হামলা করা হয়, তবে পুলিশ এটিকে ছিনতাইয়ের ঘটনা হিসেবে দেখতে চাইছে। আহতদের চিকিৎসা চলছে এবং তারা আশঙ্কামুক্ত আছেন।
আরও পড়ুনঢাকায় রামকৃষ্ণ মঠে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত, নিরাপত্তা নিশ্চিত করল সেনাবাহিনী
ঢাকার রামকৃষ্ণ মঠে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে প্রায় ২০,০০০ হিন্দু ভক্ত অংশ নেন। পুরুষ ও নারী উভয়ই এ পূজায় অংশগ্রহণ করেন, যা হিন্দুদের জন্য বহু বছরের প্রাচীন ঐতিহ্যের অংশ। প্রাথমিকভাবে নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে পূজা না করার চিন্তা করা হলেও, সেনাবাহিনীর ডেপুটি চিফের আশ্বাসে পূজা সম্পন্ন হয়। সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায় বিভিন্ন নির্যাতনের শিকার হলেও, পূজা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে সেনাবাহিনী সক্রিয়ভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে।
আরও পড়ুনপূজার নিরাপত্তা নিশ্চিতে তৎপর সেনাবাহিনী: সেনাপ্রধান
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, দেশের পূজামণ্ডপগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী সর্বদা প্রস্তুত ও তৎপর রয়েছে। শুক্রবার রমনা কালীমন্দির পরিদর্শনকালে তিনি জানান, দেশের সব নাগরিকের নিরাপত্তা ও শান্তি বজায় রাখা সেনাবাহিনীর মূল উদ্দেশ্য। নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান ও বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খানও এ সময় উপস্থিত ছিলেন এবং সবাইকে দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা জানান। পূজামণ্ডপ পরিদর্শনের সময় সশস্ত্র বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা এবং অসামরিক প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন