নড়াইলের রুপগঞ্জ নিশিনাথতলা মন্দির প্রাঙ্গণে শুক্রবার রাতে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্টের কর্মী সম্মেলন ও সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এই সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় সভাপতি অপর্ণা রায় দাস এবং সভাপতিত্ব করেন অশোক কুন্ডু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমীর বসু, মনিরুল ইসলাম ও দেবাশীষ রায় মধু। জেলার তিন উপজেলার সনাতন সম্প্রদায়ের লোকজন এ অনুষ্ঠানে অংশ নেন। অনুষ্ঠানে সম্প্রীতি বজায় রাখার বার্তা দেওয়া হয় এবং সংগঠনের ভবিষ্যৎ কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা হয়।
নড়াইল, ০৪ জানুয়ারি, ২০২৫: নড়াইলের রুপগঞ্জ নিশিনাথতলা মন্দির প্রাঙ্গণে শুক্রবার রাতে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্টের নড়াইল জেলা শাখার উদ্যোগে কর্মী সম্মেলন ও সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি অপর্ণা রায় দাস। তিনি তার বক্তব্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং সংগঠনের ভবিষ্যৎ কর্মসূচি সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করেন।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন নড়াইল জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এবং জেলা পূজা উদযাপন ফ্রন্টের আহ্বায়ক অশোক কুন্ডু। উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন বিএনপির সহধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু। তার বক্তব্যে তিনি ধর্মীয় সম্প্রীতির গুরুত্ব এবং সংগঠনের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে প্রতিহত করার বিষয়ে আলোকপাত করেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি ও হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট্রের ট্রাস্টি সমীর বসু। তিনি তার বক্তব্যে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কল্যাণে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।
এছাড়া সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নড়াইল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য দেবাশীষ রায় মধু, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি জুলফিকার আলী মন্ডল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী হাসান এবং সাংগঠনিক সম্পাদক শাহরিয়ার রিজভী জর্জ।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্টের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মানিক লাল তার বক্তব্যে সংগঠনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও কার্যক্রমের উপর আলোকপাত করেন। সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক জয় দেব রায়, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক খন্দকার ফসিয়ার রহমান এবং সদস্য সচিব মঞ্জুরুল সাঈদ বাবুও সভায় বক্তব্য দেন।
সম্মেলনে জেলার তিন উপজেলার সনাতন সম্প্রদায়ের লোকজন বিপুল সংখ্যায় অংশগ্রহণ করেন। তারা সংগঠনের পক্ষ থেকে আয়োজিত এ সম্মেলনে সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য বিভিন্ন মতামত ও পরামর্শ প্রদান করেন।
এই সম্মেলন ও সমাবেশের মূল উদ্দেশ্য ছিল ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখা এবং সনাতন সম্প্রদায়ের মধ্যে ঐক্য ও সংহতি জোরদার করা। বক্তারা তাদের বক্তব্যে সনাতন সম্প্রদায়ের কল্যাণে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন এবং ভবিষ্যতে আরও বৃহৎ পরিসরে এ ধরনের সম্মেলন আয়োজনের ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
উপস্থিত সবার অংশগ্রহণ এবং উদ্দীপনায় সম্মেলনটি সফলভাবে সম্পন্ন হয়। সমাবেশ শেষে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় যেখানে স্থানীয় শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন।