যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প সাম্প্রতিক এক বক্তব্যে বাংলাদেশের হিন্দু সংখ্যালঘুদের প্রতি হওয়া সহিংসতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। হিন্দুদের বিশেষ ধর্মীয় উৎসব দীপাবলির দিনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এই বিবৃতিতে ট্রাম্প বাংলাদেশের হিন্দু ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের উপর চলমান সহিংসতাকে “বর্বরোচিত” বলে নিন্দা জানিয়েছেন। এছাড়াও, তিনি তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিস ও প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তায় অবহেলা করার অভিযোগ করেন এবং নির্বাচনে বিজয়ী হলে যুক্তরাষ্ট্রের হিন্দুদের সুরক্ষা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। ট্রাম্পের এই মন্তব্য নির্বাচনী প্রচারণার শেষ মুহূর্তে বিশ্বব্যাপী হিন্দু অধিকার ও সংখ্যালঘু সুরক্ষার বিষয়ে তাঁর আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র, ৪ নভেম্বর: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণা চলাকালীন প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর চলমান সহিংসতা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। ৩ নভেম্বর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ পোস্ট করা এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বাংলাদেশের সংখ্যালঘু, বিশেষত হিন্দু ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রতি সহিংসতাকে “বর্বরোচিত” হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি কমলা হ্যারিস ও জো বাইডেনকে বিশ্বব্যাপী হিন্দু সম্প্রদায়ের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য দায়ী করেন।
ট্রাম্প এই বক্তব্যে বাংলাদেশে সহিংসতার নিন্দা করার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমার বিজয়ের পর, আমি হিন্দু আমেরিকানদের সুরক্ষা নিশ্চিত করব।” তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার প্রতিশ্রুতি দেন এবং তাঁকে তাঁর “ঘনিষ্ঠ বন্ধু” হিসেবে উল্লেখ করেন।
ট্রাম্পের এই মন্তব্য মার্কিন নির্বাচনী প্রচারণার সময় বাংলাদেশি হিন্দুদের অধিকারের বিষয়ে সচেতনতার নজির স্থাপন করেছে, যা অতীতে খুব কমই দেখা গেছে। এই বক্তব্যটির পেছনে নির্বাচনী স্বার্থও থাকতে পারে, কারণ যুক্তরাষ্ট্রে ৫.২ মিলিয়ন ভারতীয়-আমেরিকানদের মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশ হিন্দু, যারা মূলত ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সমর্থক। তবে সাম্প্রতিক জরিপ অনুযায়ী, এই সম্প্রদায়ের মধ্যে রিপাবলিকান সমর্থনের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
ইসলামিক দেশগুলোতে সংখ্যালঘু হিন্দুদের প্রতি যে সহিংসতা এবং বৈষম্য দেখা যায়, তা আন্তর্জাতিক মঞ্চে উঠিয়ে আনার প্রবণতা বাড়ছে। এর প্রেক্ষাপটে ডাচ রাজনীতিবিদ গির্ট উইল্ডারস এবং মার্কিন নেত্রী তুলসি গ্যাবার্ডের মতো ব্যক্তিত্বও হিন্দু অধিকারের পক্ষে আওয়াজ তুলেছেন।
ট্রাম্পের বক্তব্য কেবল একটি নির্বাচনী কৌশল হিসেবে নয় বরং হিন্দু অধিকার নিয়ে বৈশ্বিক স্তরে সচেতনতার সূচনা হিসেবে দেখা যাচ্ছে।
তারিখ ০৫.১১.২০২৪