অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইউনূস জানান, তার সরকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সচেষ্ট ছিলেন এবং যেকোনো সহিংসতার ঘটনার তদন্ত করেছেন। দুর্গাপূজার মতো উৎসব নির্বিঘ্নে উদযাপনের জন্য অতিরিক্ত ছুটি ও বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। যদিও অল্প কিছু সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে, তিনি সেগুলোকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উল্লেখ করেছেন। তবে তার এই বক্তব্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কাছে কতটা বিশ্বাসযোগ্য, সে বিষয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
ঢাকা, ১৭ নভেম্বর, ২০২৪: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর কিছু সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে, তবে প্রতিটি ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইউনূস। রোববার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
ড. ইউনূস জানান, তার সরকার দায়িত্ব গ্রহণের সময় বাংলাদেশ ছিল একটি অরক্ষিত অবস্থায়। সে সময় ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে এসব ঘটনা অতিরঞ্জিতভাবে উপস্থাপিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘‘অল্প কিছু সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে, যার পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল। এসব ঘটনাকে ধর্মীয় রূপ দিয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সবার সহযোগিতায় আমরা দৃঢ়ভাবে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছি।’’
দুর্গাপূজার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, ‘‘দু’মাসের মাথায় দেশে প্রায় ৩২ হাজার পূজামণ্ডপে দুর্গাপূজা উদযাপিত হয়েছে। আমরা নির্বাহী আদেশে একদিন অতিরিক্ত ছুটি ঘোষণা করি, যা উৎসবের আমেজকে বাড়িয়ে দেয়। পূজার সময় ব্যাপক নিরাপত্তা প্রস্তুতি নেওয়া হয়। ফলে হিন্দু সম্প্রদায় নির্বিঘ্নে তাদের উৎসব পালন করতে পেরেছে।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘আমাদের সরকার সব ধর্মীয় সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শুধু হিন্দু সম্প্রদায় নয়, দেশের প্রতিটি মানুষ যেন সহিংসতার শিকার না হয়, সেই চেষ্টা আমরা সব সময় করেছি এবং করে যাব।’’
ড. ইউনূস বলেন, তার সরকারের সময়ে ঘটে যাওয়া অল্প কিছু সহিংসতার ঘটনার তদন্ত চলছে। এর পেছনে দায়ী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার বিষয়ে জোর দিয়েছেন তিনি।
ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনতে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলো নিয়ে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দেন।
তারিখ: ১৮.১১.২০২৪