আদালত চত্বরে সাবেক ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্রকে লক্ষ্য করে ডিম নিক্ষেপ

আদালত চত্বরে সাবেক ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্রকে লক্ষ্য করে ডিম নিক্ষেপ

খুলনার ডুমুরিয়ায় এক নারীকে ধর্ষণ ও অপহরণের মামলায় সাবেক ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এবং অপর অভিযুক্ত এমরান গাজীকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা ভুক্তভোগী নারীর ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনে সহযোগিতা করেছেন। আদালতে উপস্থিতির সময় ক্ষুব্ধ জনতা সাবেক মন্ত্রীর দিকে ডিম নিক্ষেপ করেন।

খুলনা, ১৫ নভেম্বর, ২০২৪: খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার এক নারীকে ধর্ষণ ও অপহরণে সহযোগিতার অভিযোগে সাবেক ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এবং অপর অভিযুক্ত এমরান গাজীকে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করা হয়। খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১-এর বিচারক রাকিবুল ইসলাম শুনানি শেষে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, ডুমুরিয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদ এক নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণ করে আসছিলেন। ওই নারী চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি রাতে ধর্ষণের অভিযোগে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। কিন্তু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁকে জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযোগ রয়েছে, এ ঘটনায় সাবেক ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ তার প্রভাব খাটিয়ে ভুক্তভোগীকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিতে বাধ্য করেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা বক্তব্য দিতে চাপ দেন।

ভুক্তভোগী নারীর খালাতো ভাই পরিচয়দানকারী গোলাম রসুল বাদী হয়ে গত ২৯ সেপ্টেম্বর খুলনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩–এর আদালতে ধর্ষণ ও অপহরণের অভিযোগে মামলা করেন। পরে আদালত সোনাডাঙ্গা থানাকে মামলাটি রেকর্ড করার নির্দেশ দেয়। এ মামলায় গত ১৭ অক্টোবর সাবেক চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। সাবেক ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এ মামলার দুই নম্বর আসামি।

বাদীপক্ষের আইনজীবী মোমিনুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে একটার দিকে মামলার দুই নম্বর আসামি নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এবং আট নম্বর আসামি এমরান গাজীকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে উপস্থিতির সময় আদালত চত্বরে ক্ষুব্ধ জনতা সাবেক মন্ত্রীর দিকে ডিম নিক্ষেপ করেন। এতে তাঁর পোশাক নষ্ট হয়ে যায়।

স্থানীয়রা জানান, ভুক্তভোগী নারীকে অপহরণ করার পর বিভিন্ন স্থানে আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়। তাঁকে মিথ্যা স্বীকারোক্তি দিতে বাধ্য করা হয়েছিল। মামলার বিষয়ে তদন্ত চলছে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

তারিখ: ১৫.১১.২০২৪