বরিশাল থেকে ঢাকাগামী এমভি সুন্দরবন-১৬ লঞ্চ থেকে নদীতে ঝাঁপ দেওয়া আলো মজুমদার নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি পুলিশ পরিদর্শক অনুপ রায়ের স্ত্রী। গতকাল সোমবার রাতে লঞ্চ থেকে ঝাঁপ দেওয়ার পর আজ মঙ্গলবার সকালে কীর্তনখোলা নদীর চরমোনাই ইউনিয়নের পশুরিকাঠি এলাকায় তাঁর লাশ পাওয়া যায়। পরিবারের দাবি, আলো মজুমদার মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। এ ঘটনায় ময়নাতদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বরিশাল, ১২ নভেম্বর, ২০২৪: বরিশাল থেকে ঢাকাগামী এমভি সুন্দরবন-১৬ লঞ্চ থেকে ঝাঁপ দেওয়ার পর আলো মজুমদার (৩৫) নামের এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে কীর্তনখোলা নদীর চরমোনাই ইউনিয়নের পশুরিকাঠি এলাকায় ভাসমান অবস্থায় লাশটি পাওয়া যায়। নিহত আলো মজুমদার পুলিশের পরিদর্শক অনুপ রায়ের স্ত্রী।
বরিশাল সদর নৌ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আসাদুল আল গালিব জানান, মরদেহ উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পরিবারের বরাত দিয়ে জানা যায়, আলো মজুমদার বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার নরেরকাঠি গ্রামের কৃষ্ণকান্ত মজুমদারের মেয়ে। ২০১৫ সালে তিনি পুলিশ পরিদর্শক অনুপ রায়ের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এই দম্পতির দুটি সন্তান রয়েছে।
আলো মজুমদারের বোন মঞ্জু রানি মজুমদার জানান, তাঁর বোন মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন এবং চিকিৎসাধীন ছিলেন। সোমবার সকালে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। তিনি বলেন, “সোমবার সকালে আলো আমাকে ফোন করে মোবাইলে টাকা রিচার্জ করার কথা বলেন। এরপর থেকেই আমরা তাঁকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। বিষয়টি জানিয়ে বরিশাল নগরের বিমানবন্দর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করি।”
পুলিশ জানায়, সোমবার রাতে এমভি সুন্দরবন-১৬ লঞ্চ থেকে এক নারী নদীতে ঝাঁপ দিয়েছেন বলে খবর পাওয়া যায়। স্থানীয়রা মঙ্গলবার সকালে কীর্তনখোলা নদীতে এক নারীর মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেন। পরে মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে স্বজনরা লাশ শনাক্ত করেন।
বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাকির সিকদার জানান, মঞ্জু রানী মজুমদারের করা জিডির সূত্র ধরে তদন্ত শুরু করা হয়। তিনি জিডিতে উল্লেখ করেন যে তাঁর বোন মানসিক বিকারগ্রস্ত ছিলেন এবং নিখোঁজ ছিলেন। মঙ্গলবার কীর্তনখোলা নদীতে লাশ পাওয়ার পর বিষয়টি পরিষ্কার হয়। তবে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ঘটনাটি নিয়ে বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না।
পুলিশ জানায়, আলো মজুমদারের মানসিক অসুস্থতার কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্ত ও তদন্তের পর ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
তারিখ: ১৫.১১.২০২৪