ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত এবং বাংলাদেশের উপর প্রভাব

ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত এবং বাংলাদেশের উপর প্রভাব

ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়লাভ করে আবারও হোয়াইট হাউজে ফিরতে চলেছেন। ২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। ট্রাম্পের এই জয় যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি এবং বিশ্ব রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ সম্পর্ক এবং ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি নিয়ে অনেকেই চিন্তিত। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ট্রাম্প প্রশাসন বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক এবং বৈশ্বিক রাজনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে। তাঁর পূর্ববর্তী প্রশাসনের মতো, তিনি “আমেরিকা ফার্স্ট” নীতিতে জোর দিতে পারেন, যা বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর জন্য বাণিজ্যিক চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি বাজার হওয়ায়, ট্রাম্পের ট্যারিফ নীতি এবং সুরক্ষাবাদী অবস্থান নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে। (সূত্রঃ ডেইলিস্টার)

যুক্তরাষ্ট্র, ৬ নভেম্বর, ২০২৪: ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন, যা যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। ট্রাম্পের এই জয় তাঁর রাজনৈতিক জীবনের একটি অসাধারণ প্রত্যাবর্তন। নির্বাচনের আগে তিনি অপরাধমূলক অভিযোগ, হত্যা প্রচেষ্টা এবং স্বৈরতন্ত্রের অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন। তবে এসব প্রতিকূলতা কাটিয়ে তিনি আবারও হোয়াইট হাউজে প্রবেশ করতে চলেছেন।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ট্রাম্প প্রশাসন বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক এবং বৈশ্বিক রাজনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে। তাঁর পূর্ববর্তী প্রশাসনের মতো, তিনি “আমেরিকা ফার্স্ট” নীতিতে জোর দিতে পারেন, যা বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর জন্য বাণিজ্যিক চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি বাজার হওয়ায়, ট্রাম্পের ট্যারিফ নীতি এবং সুরক্ষাবাদী অবস্থান নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে।

ট্রাম্পের জলবায়ু নীতিও বাংলাদেশের জন্য উদ্বেগের বিষয়। তাঁর আগের প্রশাসনের সময় প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাহার এবং বৈশ্বিক জলবায়ু উদ্যোগে কম সক্রিয়তা বাংলাদেশের মতো জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশের জন্য উদ্বেগ তৈরি করেছিল। একইসঙ্গে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) সঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসনের দূরত্বও আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সহায়তা পেতে বাধা তৈরি করতে পারে।

নির্বাচনের আগে ট্রাম্প বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর “বর্বর সহিংসতার” অভিযোগ করেছেন, যা অনেকে “অযথা ও ভিত্তিহীন” বলে মনে করেন। এটি নিয়ে বাংলাদেশের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে যে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে ভারতের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখবে।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস ইতোমধ্যে ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক শক্তিশালী করার বিষয়ে আশাবাদ প্রকাশ করেছেন।

বিশ্বজুড়ে ট্রাম্প প্রশাসনের দ্বিতীয় মেয়াদ কীভাবে গঠনমূলক বা চ্যালেঞ্জমূলক প্রভাব ফেলবে, তা সময়ই বলে দেবে। তবে বাংলাদেশের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ যে, সরকার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কৌশলগত এবং অর্থনৈতিক স্বার্থ সুরক্ষায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে। এটি ট্রাম্প প্রশাসনের দ্বিতীয় মেয়াদ, এবং তাঁর নীতির প্রতিফলন বিশ্ব রাজনীতি ও বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।

তারিখ: ১৭.১১.২০২৪