দুর্গাপূজা উদযাপন নিয়ে উগ্র ইসলামী গোষ্ঠীর প্রতিবাদ

দুর্গাপূজা উদযাপন নিয়ে উগ্র ইসলামী গোষ্ঠীর প্রতিবাদ

ঢাকা, ৭ অক্টোবর: দুর্গাপূজা উৎসবের নিকটে আসার সাথে সাথে বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর বাড়ছে চাপ, বিশেষ করে কিছু উগ্র ইসলামী গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে। ঢাকার সেক্টর ১৩-এ “ইনসাফ কিমকারি ছাত্র-জনতা” নামের একটি উগ্র ইসলামী সংগঠন দুর্গাপূজা উদযাপনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ করেছে। তারা দাবি করেছে যে, দুর্গাপূজাকে জাতীয় ছুটি হিসেবে বাতিল করা উচিত এবং মন্দিরগুলোতে ভারতবিরোধী ব্যানার প্রদর্শনের আহ্বান জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশে দুর্গাপূজা উৎসবের দিনগুলি কাছে আসার সাথে সাথে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে উগ্র ইসলামী গোষ্ঠীগুলোর চাপ বাড়ছে। তারা পবিত্র উৎসবের সময় সাধারণ উত্সব, মূর্তিপূজা এবং বিসর্জনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি জানাচ্ছে।

ঢাকার সেক্টর ১৩-এ “ইনসাফ কিমকারি ছাত্র-জনতা” নামক একটি উগ্র ইসলামী সংগঠন সম্প্রতি একটি বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে, যেখানে তারা স্থানীয় একটি খেলার মাঠে দুর্গাপূজা উদযাপনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে। খেলার মাঠটি বহু বছর ধরে হিন্দু সম্প্রদায়ের দ্বারা ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তবে ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির সাথে সাথে, একাধিক ইসলামী সংগঠনগুলো পাবলিক উৎসবের বিরোধিতা করেছে।

প্রতিবাদকারীরা বাংলা ভাষায় লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে তাদের দাবি তুলে ধরেছেন, যার মধ্যে ছিল মূর্তির বিসর্জনে পরিবেশের ক্ষতি এবং জনসাধারণের পূজার জন্য সড়ক বন্ধ করার বিষয়। তারা যুক্তি দিয়েছেন যে, এমন অনুষ্টান অযৌক্তিক, বিশেষ করে যেহেতু বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার মাত্র অল্প শতাংশ হিন্দু।

প্রতিবাদকারীদের মূল দাবি ছিল দুর্গাপূজাকে জাতীয় ছুটি হিসেবে বাতিল করা। তারা দাবি করেছেন যে, উৎসবটি হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলেও, এটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠের জন্য অপ্রয়োজনীয় অসুবিধা সৃষ্টি করে। ভারতের সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়া টুডে’র একটি প্রতিবেদনের অনুযায়ী, এই সংগঠনটি “দখলকৃত জমিতে” নির্মিত মন্দিরগুলোর ধ্বংসের দাবি তুলেছে, যা ধর্মীয় সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়াচ্ছে।

বিক্ষোভকারীরা আরও এক ধাপ এগিয়ে গিয়ে দাবি করেছেন, বাংলাদেশে অবস্থিত মন্দিরগুলোতে ভারতবিরোধী ব্যানার প্রদর্শন করতে হবে যাতে দেশের প্রতি তাদের আনুগত্য প্রকাশ পায়। তারা যুক্তি দেখিয়েছে যে, হিন্দু নাগরিকদের ভারতীয় সংযোগ থেকে নিজেদের দূরে রাখতে হবে, যা বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশের সাথে বৃহত্তর ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার প্রতিফলন।

সূত্র: এমএসএন

তারিখ ০৮.১০.২০২৪