বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের যুবকদের সামাজিক মাধ্যম হ্যাকিং ও মিথ্যা ধর্ম অবমাননার অভিযোগে প্রতারণার ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা এইচআরসিবিএম (হিউম্যান রাইটস কংগ্রেস ফর বাংলাদেশ মাইনরিটিজ)। উগ্র গোষ্ঠীগুলি এবং বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ)-এর অপপ্রয়োগের ফলে নিরপরাধ সংখ্যালঘু যুবকদের জীবন ও স্বাধীনতা হুমকির মুখে পড়ছে। অনলাইনে ধর্মীয় আলোচনা বা বিতর্কে অংশগ্রহণ করলে অনেক সময় ধর্ম অবমাননার অভিযোগের মুখোমুখি হতে হয়। ফেসবুকে ধর্মীয় বিতর্ক এড়িয়ে চলা এবং একাউন্টকে সুরক্ষিত রাখার কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস নিচে দেওয়া হলো।
১. ধর্মীয় বিতর্কে না জড়ানো ও অভিযোগ এড়ানো
-
অপরিচিতদের সঙ্গে বিতর্ক এড়িয়ে চলুন: অপরিচিতদের সঙ্গে বা পাবলিক পোস্টে বিতর্ক এড়িয়ে চলুন।
-
নিরপেক্ষ থাকুন: ধর্মীয় বিষয় নিয়ে পোস্ট বা মন্তব্য এলে নিজের মতামত প্রকাশ না করে নিরপেক্ষ থাকুন। এর ফলে বিতর্ক এড়ানো সহজ হবে।
-
সব ধর্মকে সম্মান দেখান: কোনো ধর্মীয় ব্যক্তি, প্রতীক বা ধর্মীয় বিশ্বাসের ব্যাপারে নেতিবাচক মন্তব্য না করা উচিত। সম্মান দেখিয়ে কথা বললে বিতর্ক থেকে দূরে থাকা যায়।
-
সংবেদনশীল বিষয় এড়িয়ে চলুন: ধর্মীয় বিশ্বাস বা চর্চার বিতর্কে অংশ না নেয়া ভালো। এ ধরনের পোস্ট দেখলে মন্তব্য না করে এড়িয়ে চলুন।
-
রিপোর্ট করুন, মন্তব্য নয়: আপত্তিকর বা উত্তেজক কোনো পোস্ট দেখলে রিপোর্ট অপশনটি ব্যবহার করে ফেসবুককে জানান। নিজে মন্তব্য করার পরিবর্তে এ পদক্ষেপ নেওয়া নিরাপদ।
-
প্রাইভেসি সেটিংস নিয়ন্ত্রণে রাখুন: ফেসবুক প্রাইভেসি সেটিংস এমনভাবে ঠিক করুন যাতে শুধুমাত্র বন্ধুদের পোস্ট দেখতে বা মন্তব্য করতে দেওয়া যায়। এর ফলে আপনি অচেনা বা অবাঞ্ছিত মন্তব্য থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন।
-
সতর্কতার সাথে শব্দ ব্যবহার করুন: ধর্মীয় বিষয়ে যদি কিছু শেয়ার করতেই হয় তবে শব্দচয়ন ও ভাষা ব্যবহারে সতর্ক থাকুন। খারাপ শব্দ বা ব্যঙ্গাত্মক ভাষা এড়িয়ে চলুন।
২. ফেসবুক একাউন্টকে হ্যাক-প্রুফ করা
-
শক্ত পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন: এমন পাসওয়ার্ড দিন যেটি জটিল এবং সহজে অনুমান করা যায় না। এছাড়াও অন্য একাউন্টের পাসওয়ার্ড পুনরায় ব্যবহার না করাই উত্তম।
-
টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন চালু করুন (2FA): এটি একটি নিরাপত্তা স্তর যোগ করে, যা লগইন করতে ফোন বা ইমেইলে প্রাপ্ত একটি কোড ব্যবহার করতে হয়।
-
লগইন সতর্কতা চালু করুন: যদি কোনো অপরিচিত ডিভাইস থেকে একাউন্টে প্রবেশ করা হয় তবে ফেসবুক থেকে নোটিফিকেশন পাওয়ার ব্যবস্থা চালু রাখুন।
-
যোগাযোগের তথ্য আপডেট রাখুন: আপনার ফোন নম্বর এবং ইমেইল ঠিকানা আপডেট রাখুন। এতে একাউন্টে প্রবেশ সমস্যা হলে পুনরুদ্ধার সহজ হবে।
-
ফিশিং প্রচেষ্টা থেকে সতর্ক থাকুন: সন্দেহজনক লিংক থেকে দূরে থাকুন, বিশেষ করে অপরিচিত উৎস থেকে। ফেসবুক কখনও পাসওয়ার্ড চেয়ে মেসেজ বা ইমেইল পাঠায় না।
-
সুরক্ষিত ডিভাইস ব্যবহার করুন: পাবলিক বা শেয়ারড কম্পিউটারে লগইন না করাই ভালো। করলেও সেশন শেষে লগআউট করে ব্রাউজিং হিস্টরি মুছে ফেলুন।
এই টিপসগুলো অনুসরণ করে আপনি ফেসবুক একাউন্টকে সুরক্ষিত রাখতে পারেন এবং ধর্মীয় বিতর্ক এড়িয়ে চলতে পারেন, যা আপনার নিরাপত্তা ও মানসিক শান্তি রক্ষায় সহায়ক হবে।
তারিখ ২৯.১০.২০২৪