চট্টগ্রামের পটিয়ায় স্বর্ণ ব্যবসায়ী রুবেল দাশের ৬৫ ভরি স্বর্ণ ছিনতাই, যুবদল নেতাসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা

চট্টগ্রামের পটিয়ায় স্বর্ণ ব্যবসায়ী রুবেল দাশের ৬৫ ভরি স্বর্ণ ছিনতাই, যুবদল নেতাসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা

চট্টগ্রাম, ২৭ আগস্ট: চট্টগ্রামের পটিয়ার বাইপাস সড়কে একটি বাস থেকে স্বর্ণ ব্যবসায়ী রুবেল দাশের কারিগরের কাছ থেকে ৬৫ ভরি স্বর্ণসহ নগদ টাকা ও অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে যুবদল নেতা মোহাম্মদ মামুনসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। ২৭ আগস্ট চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের কচুয়াই ফারুকীপাড়া এলাকায় এই ছিনতাই হয়। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং পুলিশ তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে।

চট্টগ্রামের পটিয়ায় ৬৫ ভরি স্বর্ণ ছিনতাইয়ের ঘটনায় যুবদল নেতাসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গত ২৭ আগস্ট দুপুরে পটিয়ার কচুয়াই ফারুকীপাড়া এলাকায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পাশে একটি বাস থেকে এই ছিনতাই ঘটে। স্বর্ণ ব্যবসায়ী রুবেল দাশের কারিগর রূপন দাশ ২১ ক্যারেটের ৬৫ ভরি স্বর্ণ নিয়ে চট্টগ্রামে যাচ্ছিলেন। বাসটি পটিয়া বাইপাস ফারুকীপাড়া এলাকায় পৌঁছালে মোটরসাইকেল ও নোহা গাড়িতে থাকা চারজন অজানা ব্যক্তি বাসটি থামায়।

এ সময় চারজন ব্যক্তি বাসে উঠে রূপন দাশের আসনের সামনে এসে তাঁকে ছাত্রলীগের কর্মী বলে অভিযুক্ত করে এবং দাবি করে, তিনি চার থেকে পাঁচজনকে খুন করে পালিয়ে যাচ্ছেন। এ কথা বলার পরপরই তাঁরা রূপন দাশকে কিল-ঘুষি মারতে শুরু করে এবং টেনেহিঁচড়ে বাস থেকে নামিয়ে নোহা গাড়িতে তোলে। তাঁরা গামছা দিয়ে রূপন দাশের চোখ বেঁধে, গলায় ছুরি ধরে তাঁর কাছে থাকা ব্যাগ থেকে ৬৫ ভরি স্বর্ণ (যার মূল্য প্রায় ৬৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা), একটি মুঠোফোন, দুই ভরি রুপার ব্রেসলেট এবং নগদ ৫,৭০০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে তাঁকে চোখ বাঁধা অবস্থায় চলন্ত নোহা থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়।

পটিয়া থানার তদন্ত কর্মকর্তা আবদুর রহিম সরকার জানান, সিসিটিভি ফুটেজের সাহায্যে কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। যুবদল নেতা মোহাম্মদ মামুন ও তাঁর সহযোগী মো. মনিরসহ চারজনকে মামলার আসামি করা হয়েছে। বাদী রুবেল দাশ কক্সবাজারের ঈদগাঁও এলাকার স্বর্ণ ব্যবসায়ী এবং তাঁর দোকানের জন্য নতুন গয়না তৈরির উদ্দেশ্যে এই স্বর্ণ পাঠানো হয়েছিল।

এদিকে পটিয়া পৌরসভা বিএনপির সদস্যসচিব গাজী আবু তাহের বলেন, যদি প্রমাণ হয় যে দলীয় কর্মীরা এই অপরাধের সাথে জড়িত, তবে দলের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দলের কেউ অপরাধ করলে, তাদের কোনোভাবেই প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।

সূত্র: প্রথম আলো

তারিখ ০৭.০৯.২০২৪