ডেলাওয়ার, যুক্তরাষ্ট্র ২১ সেপ্টেম্বর: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিসরি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গত মাসেও দুই নেতা টেলিফোনে কথা বলেন, যেখানে প্রধানমন্ত্রী মোদি বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, বিশেষ করে হিন্দুদের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এই আলোচনার মাধ্যমে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হলো এবং দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতা বজায় রাখার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হলো। (সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস)
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মধ্যে সম্প্রতি একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিসরি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, বিশেষ করে হিন্দুদের বর্তমান অবস্থার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে, যেখানে প্রধানমন্ত্রী মোদি বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর চলমান সহিংসতা এবং নির্যাতনের বিষয়টি সামনে আনেন। মোদি এই বিষয়টি মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে তুলে ধরে জানান যে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায় বিশেষভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে, যা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি স্বরূপ হতে পারে।
গত মাসে দুই নেতার মধ্যে টেলিফোনে আলোচনার সময়ও একই বিষয় নিয়ে কথা হয়েছিল। সেই আলোচনাতে মোদি বাংলাদেশের পরিস্থিতি তুলে ধরেন এবং বিশেষ করে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর সহিংসতার ব্যাপারে তার উদ্বেগ প্রকাশ করেন। মোদি ও বাইডেন উভয়েই বাংলাদেশে একটি স্থিতিশীল ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে আগ্রহী, যেখানে সংখ্যালঘুদের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।
বৈঠকে বাইডেন বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং সরকারকে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। মোদি ও বাইডেন উভয়েই একমত যে বাংলাদেশের এই পরিস্থিতি উন্নতির জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরও সচেতন হতে হবে। তারা মনে করেন, এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ এবং আঞ্চলিক সহযোগিতা অপরিহার্য।
বৈঠকে আলোচনা হয় যে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের ঘটনা শুধু বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যু নয়, বরং এটি প্রতিবেশী দেশগুলোর নিরাপত্তা এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে। তাই এই সমস্যার সমাধানের জন্য আন্তরিক ও সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
এছাড়াও, পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিসরি জানিয়েছেন যে, দুই নেতা বাংলাদেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রেও আলোচনা করেছেন এবং দেশটির অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য সমন্বিত প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। বাংলাদেশের উন্নয়ন এবং নিরাপত্তার ওপর আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা নির্ভরশীল, এবং তাই ভারতের কূটনৈতিক কৌশলের অংশ হিসেবে দেশটি বাংলাদেশের পরিস্থিতির উন্নয়নে সরাসরি অংশগ্রহণ করছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ধরনের বৈঠকগুলোকে আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে। সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষা করা এবং তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা ভারতের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য।
এই বৈঠকটি দুই দেশের মধ্যে চলমান কূটনৈতিক সহযোগিতার অংশ এবং দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে বাংলাদেশের পরিস্থিতি আরও মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
তারিখ ২২.০৯.২০২৪