বগুড়া, ৫ আগস্ট: বগুড়ার গাবতলী উপজেলার বামুনিয়া পালপাড়ায় ৫ আগস্ট রাতে একদল দুর্বৃত্তের হামলা, ভাঙচুর এবং লুটপাটের ঘটনা ঘটে। প্রায় ১৫০-২০০ জনের একটি দল লাঠি ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে পালপাড়ার ১০টি বসতবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে আক্রমণ চালায়। আগুন লাগিয়ে ভাঙচুরের পাশাপাশি একটি সংখ্যালঘু কৃষকের গোয়াল থেকে চারটি গরু লুট করা হয়। হামলার পর থেকে পুরো এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। বাসিন্দারা রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন। পুলিশ টহল দিলেও এলাকাবাসীর মধ্যে এখনও ভয় এবং উদ্বেগ বিরাজ করছে।
৫ আগস্ট রাতে বগুড়ার গাবতলী উপজেলার বামুনিয়া পালপাড়ায় ১৫০-২০০ জন দুর্বৃত্ত হামলা চালায়। লাঠি ও ধারালো অস্ত্রসহ তারা ১০টি বসতবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং লুটপাট করে। লাল মোহন পাল ও তাঁর পরিবার বাড়ি থেকে পালিয়ে জীবন রক্ষা করেন। পালপাড়ার অধিকাংশ মানুষ মাটির তৈজসপত্র ও প্রতিমা তৈরি করে জীবনযাপন করেন। হামলার পর থেকে পুরো এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে, বিশেষত সন্ধ্যার পর থেকে ভয় আরও বাড়ে। বাসিন্দারা দলবদ্ধ হয়ে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন।
উপজেলার পীরগাছা বাজারের নিকটবর্তী বামুনিয়া গ্রামের এই এলাকায় প্রায় ৬৫টি পাল পরিবার বসবাস করে। তাঁরা কেউ তেমনভাবে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন, তবুও রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে তাদের ওপর এই আক্রমণ হয়েছে বলে জানা যায়। হামলায় লাল মোহন পালের বাড়ি, পাশাপাশি আরও কয়েকটি বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সংখ্যালঘু এক কৃষকের গোয়াল থেকে চারটি গরু লুট হয়, যেগুলোর মধ্যে তিনটি স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যস্থতায় ফেরত পাওয়া গেছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী আপন চন্দ্র পাল জানান, তাঁর দোকানে সাত লাখ টাকার বস্তা ও মেশিন লুট করা হয়েছে, যা তাঁর ব্যবসাকে বিপর্যস্ত করেছে। এছাড়া স্বপন চন্দ্র পাল ও শ্যামল চন্দ্র পালের মুদিদোকান থেকেও মূল্যবান সামগ্রী লুট করা হয়। রিপন পালের স্ত্রী বিউটি রানী পাল জানান, তাঁর বিয়েতে পাওয়া তিন ভরি সোনার গয়না লুট হয়েছে।
পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টহল বাড়ালেও বাসিন্দারা এখনও আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।
সূত্র: প্রথম আলো
তারিখ ২০.০৮.২০২৪