বরিশালের বাকেরগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ শুক্লা রানী হালদারকে পদত্যাগে বাধ্য করার ঘটনায় নিন্দার ঝড়

বরিশালের বাকেরগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ শুক্লা রানী হালদারকে পদত্যাগে বাধ্য করার ঘটনায় নিন্দার ঝড়

বাকেরগঞ্জ, ২৯ আগস্ট: বরিশালের বাকেরগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ শুক্লা রানী হালদারকে পদত্যাগে বাধ্য করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ১৪তম বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা শুক্লা রানী হালদার, যিনি ২০২২ সালে কলেজে যোগ দেন, ২৯ আগস্ট একদল শিক্ষার্থী ও বহিরাগতদের দ্বারা চার ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। এই ঘটনায় প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও স্থানীয় লোকজন তাঁদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন।

বরিশালের বাকেরগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ শুক্লা রানী হালদারকে অবরুদ্ধ করে পদত্যাগে বাধ্য করার ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিন্দার ঝড় উঠেছে। ১৪তম বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা শুক্লা রানী হালদার ২০২২ সালের মাঝামাঝি বাকেরগঞ্জ সরকারি কলেজে অধ্যক্ষ পদে যোগ দেন। এর আগে তিনি বরিশালের সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন।

২৯ আগস্ট দুপুরে একদল শিক্ষার্থী ও বহিরাগত লোকজন তাঁকে প্রায় চার ঘণ্টা ধরে তাঁর কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখেন এবং পদত্যাগ করতে বাধ্য করেন। অবরুদ্ধ অবস্থায় অধ্যক্ষের অসহায় ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে, যা দেখে তাঁর প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও স্থানীয় মানুষজন ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই দিন সকাল ১০টা থেকে কলেজে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভে শিক্ষার্থীদের চেয়ে বাইরের লোকজনের উপস্থিতি বেশি ছিল। বিক্ষোভকারীরা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি এবং কলেজে নিয়মিত উপস্থিত না হওয়ার অভিযোগ তোলেন। পরে তাঁকে পদত্যাগের জন্য চাপ দেওয়া হয় এবং একটি সাদা কাগজে ‘পদত্যাগ করলাম’ লিখতে বাধ্য করা হয়।

এই ঘটনার পর সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) বরিশাল জেলা শাখার সাবেক সভাপতি অধ্যাপক শাহ সাজেদা জানান, অধ্যক্ষের সঙ্গে এমন আচরণ দেখে তিনি অত্যন্ত দুঃখিত এবং এটি সম্পূর্ণভাবে অগ্রহণযোগ্য।

অধ্যক্ষ শুক্লা রানী হালদার বলেন, “আমি যাদের পড়িয়েছি, তাদের কয়েকজন আমাকে চরম অপমান করেছে। তবে শিক্ষার্থীদের চেয়ে এখানে বহিরাগত বেশি ছিল। কোনোভাবে তাদের শান্ত করতে না পেরে পদত্যাগ করলাম লিখে দিয়েছি।”

তিনি আরও বলেন, “আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলির কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ নেই। কলেজের শিক্ষকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে, তাঁদের একটি পক্ষ এই পরিস্থিতি তৈরি করতে সহায়তা করেছেন।”

এই ঘটনাটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে বলে আশা প্রকাশ করেন অধ্যক্ষ।

সূত্র: প্রথম আলো

তারিখ ৩১.০৮.২০২৪