এটি এই বিভাগটির বহু পৃষ্ঠার মুদ্রণযোগ্য দর্শন। মুদ্রণ করতে এখানে ক্লিক করুন.

এই পৃষ্ঠার নিয়মিত দৃশ্যে ফিরে আসুন.

আমাদের সংবিধান

স্বাগতম আমাদের সংবিধান অংশে — বাংলাদেশ হিন্দু সমাজ-এর গঠন, নেতৃত্ব নির্বাচন, সদস্যপদ ব্যবস্থা এবং বিভিন্ন কমিটির দায়িত্ববণ্টন সম্পর্কে এখানে স্পষ্ট ধারণা দেওয়া হয়েছে। এই অংশের লক্ষ্য সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও পরিচালনার নিয়ম পরিষ্কারভাবে তুলে ধরা।

1 - 1️⃣ সদস্যপদ ব্যবস্থা

বাংলাদেশ হিন্দু সমাজের সদস্যপদ কাঠামো এমনভাবে সাজানো যে সবাই একটি সংগঠিত, স্বচ্ছ ও কমিউনিটি-ভিত্তিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যুক্ত হতে পারে। সদস্যরা তাদের অংশগ্রহণ, অবদান ও সেবা দেওয়ার প্রস্তুতি অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন ভূমিকা পালন করেন।

প্রতিটি নতুন সদস্যকে অবশ্যই একজন বিদ্যমান সদস্য পরিচয় করিয়ে দেবেন।

সংক্ষিপ্ত ধারণা

বাংলাদেশ হিন্দু সমাজের সদস্যপদ কাঠামো নিশ্চিত করে যে যেকোনো ব্যক্তি একটি পরিষ্কার, সুশৃঙ্খল ও কমিউনিটি-কেন্দ্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যুক্ত হতে পারেন। সদস্যরা তাদের কাজের ধরন, অবদান ও সেবার মনোভাব অনুযায়ী ভিন্ন ভূমিকা নেন।


🔹 সদস্য পরিচিতি নিয়ম

  • প্রতিটি নতুন সদস্যকে বিদ্যমান সদস্য পরিচয় করিয়ে দেবেন।
  • শুরুতে সুপ্রিম প্রেসিডেন্ট একমাত্র পরিচয়দাতা হিসেবে কাজ করবেন।
  • একজন সদস্য এক সময়ে শুধু একটি ইউনিটে থাকতে পারেন, তবে চাইলে ইউনিট বদলাতে পারবেন এবং সুবিধা হারাবেন না।

🔹 ভোটিং ক্ষমতা কাঠামো

যে সদস্য যতজনকে পরিচয় করিয়ে দেবেন, তার ভোটিং ক্ষমতা তত বাড়বে:

  • যদি A মোট ১০০ জনকে পরিচয় করান → ভোটিং ক্ষমতা = ১০১

  • যদি B কাউকে পরিচয় না করান → ভোটিং ক্ষমতা =

  • ভোটিং ক্ষমতা পরবর্তী স্তরের সদস্য পরিচিতি থেকেও বাড়তে থাকে:

    • যদি A-এর ১০০ সদস্য আরও ১০০০ জনকে পরিচয় করান → A-এর ভোটিং ক্ষমতা হবে ১১০১

এতে একটি স্বচ্ছ, যোগ্যতা-ভিত্তিক নেতৃত্ব কাঠামো তৈরি হয়।


🔹 সদস্যদের তিন ধরন

1️⃣ Friend (সহযোগী)

  • কোনো ফি নেই
  • ভোট দিতে পারবেন না, নির্বাচনেও দাঁড়াতে পারবেন না
  • কোনো সুবিধা দাবি করতে পারবেন না
  • মূল ভূমিকা: নৈতিক সহযোগিতা ও শুভেচ্ছা

2️⃣ Beneficiary (সুবিধাভোগী)

  • সদস্যপদ ফি প্রদান করেন
  • ভোট দিতে পারেন
  • নির্বাচন করতে পারেন না
  • কমিউনিটি সেবা ও সুবিধা পেতে পারেন

3️⃣ Volunteer (স্বেচ্ছাসেবক)

  • সদস্যপদ ফি প্রদান করেন
  • ভোট দিতে পারেন
  • শুধু স্বেচ্ছাসেবকরাই নির্বাচন করতে পারবেন
  • কোনো সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন না
  • প্রধান ভূমিকা: সেবা, নেতৃত্ব, কমিউনিটি কাজ

🔹 সদস্যপদ প্রক্রিয়া

  1. বিদ্যমান সদস্য নতুন ব্যক্তিকে Friend হিসেবে নিবন্ধন করেন।

  2. Friend যদি সেবা বা সহায়তা চান → ইউনিট কমিটি তাকে Beneficiary করে দেয়।

  3. ইউনিট কমিটি Friend-দের Volunteer হতে উৎসাহ দেয়।

  4. Volunteer হতে হলে:

    • কমপক্ষে ১০ জন Friend পরিচয় করাতে হবে
    • নির্বাচন করার আগে ১ বছর সক্রিয়ভাবে সেবা করতে হবে

🔹 বার্ষিক নবায়ন

প্রতি বছর দুর্গাপূজা (অক্টোবর/নভেম্বর) সময়:

  • সদস্যরা ক্যাটাগরি পরিবর্তন করতে পারবেন
  • ইউনিট পরিবর্তন করতে পারবেন
  • সব রেকর্ড হালনাগাদ হবে

2 - 2️⃣ নির্বাচন প্রক্রিয়া

বাংলাদেশ হিন্দু সমাজ বহুস্তরভিত্তিক, গণতান্ত্রিক এবং ওজন-ভিত্তিক ভোটিং পদ্ধতি অনুসরণ করে। প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসে স্থানীয় ইউনিট থেকে কেন্দ্রীয় স্তর পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে নেতৃত্ব নির্বাচিত হয়।

👉 প্রতিটি ভোটার তাঁর নিজস্ব ভোটশক্তি অনুযায়ী ভোট দেন

ভূমিকা

বাংলাদেশ হিন্দু সমাজ একটি বহুস্তরভিত্তিক, গণতান্ত্রিক, ও ওজন-ভিত্তিক ভোটিং ব্যবস্থা অনুসরণ করে। প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসে—ইউনিট থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত— ধাপে ধাপে নেতৃত্ব নির্বাচন হয়।


🔹 বার্ষিক নির্বাচন সময়সূচি

1️⃣ ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ – ইউনিট প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

  • ভোটার: ভলান্টিয়ার + বেনিফিশিয়ারি
  • প্রতিটি ভোটার তাঁর ভোটশক্তি অনুযায়ী ভোট দেন

2️⃣ দ্বিতীয় সপ্তাহ – উপজেলা প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

  • ভোটার: নবনির্বাচিত ইউনিট প্রেসিডেন্টরা
  • ভোটের ওজন = সেই ইউনিটের মোট ভলান্টিয়ার + বেনিফিশিয়ারি সংখ্যা

3️⃣ তৃতীয় সপ্তাহ – জেলা প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

  • ভোটার: নবনির্বাচিত উপজেলা প্রেসিডেন্টরা
  • ভোটের ওজন = সংশ্লিষ্ট উপজেলার মোট ভলান্টিয়ার + বেনিফিশিয়ারি

4️⃣ চতুর্থ সপ্তাহ – কেন্দ্রীয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

  • ভোটার: জেলা প্রেসিডেন্টরা
  • ভোটের ওজন = তাদের জেলার মোট ভলান্টিয়ার + বেনিফিশিয়ারি

🔹 অনলাইন ভোটিং ব্যবস্থা

  • বেশিরভাগ নির্বাচন অনলাইনে হয়
  • দ্রুত, স্বচ্ছ ও নিরাপদ ফল নিশ্চিত করে
  • সারাদেশের অংশগ্রহণ সহজ ও বিস্তৃত করে

3 - 3️⃣ কমিটি কাঠামো

বাংলাদেশ হিন্দু সমাজ তিনটি শক্তিশালী কিন্তু ভারসাম্যপূর্ণ কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত হয়, যা গণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত, দীর্ঘমেয়াদি স্থিরতা এবং কার্যকর পরিচালনা নিশ্চিত করে।

👉 পার্মানেন্ট কমিটি থাকে: কেন্দ্র, জেলা, উপজেলা, সিটি ও ইউনিট পর্যায়ে

সংক্ষিপ্ত ধারণা

বাংলাদেশ হিন্দু সমাজ তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ও ভারসাম্যপূর্ণ কমিটির মাধ্যমে চলে। এগুলো একসঙ্গে গণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত, ধারাবাহিকতা এবং কাজের দক্ষতা নিশ্চিত করে।


🔹 তিন ধরনের কমিটি

1️⃣ সুপ্রিম কমিটি

  • প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টিদের নিয়ে গঠিত

  • আজীবন মেয়াদ

  • সর্বোচ্চ স্তরের নীতি নির্ধারণ করে

  • সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে সদস্য যোগ বা বাদ দিতে পারে

  • গঠনে থাকে:

    • সুপ্রিম প্রেসিডেন্ট
    • সুপ্রিম ভাইস-প্রেসিডেন্ট
    • পার্মানেন্ট সদস্যরা

2️⃣ পার্মানেন্ট কমিটি

  • কেন্দ্র, জেলা, উপজেলা, সিটি ও ইউনিট—সকল স্তরে থাকে

  • সদস্যদের নিয়োগ দেন সুপ্রিম প্রেসিডেন্ট

  • আজীবন মেয়াদ

  • প্রধান উদ্দেশ্য:

    • ধারাবাহিকতা বজায় রাখা
    • তত্ত্বাবধান করা
    • সংবিধানিক শুদ্ধতা রক্ষা করা
  • ২/৩ ভোটে এক্সিকিউটিভ কমিটির সিদ্ধান্ত বাতিল করতে পারে


3️⃣ এক্সিকিউটিভ কমিটি

  • দৈনন্দিন পরিচালনা ও নেতৃত্বের দায়িত্বে
  • কেন্দ্র, জেলা, উপজেলা, সিটি ও ইউনিট—সকল স্তরে থাকে
  • সভাপতি প্রতি বছর নির্বাচিত হন
  • সর্বোচ্চ ১০ জন সদস্য নিয়োগ দিতে পারেন
  • দৈনন্দিন কাজ, উন্নয়ন প্রকল্প, ক্যাম্পেইন পরিচালনা করে
  • সভাপতির ভেটো ক্ষমতা থাকে
  • সভাপতি পার্মানেন্ট কমিটিকে ২৪ ঘণ্টা আগে জানিয়ে সদস্য যোগ বা বাদ দিতে পারেন

4 - 4️⃣ কমিটি স্তর

সমাজ একটি ধাপে সাজানো, উপর থেকে পরিচালিত কিন্তু স্থানীয়ভাবে ক্ষমতায়িত কাঠামোর মাধ্যমে চলে। প্রতিটি স্তর তার উপরের স্তরকে রিপোর্ট করে, ফলে সমন্বয় সহজ হয়।

👉 এই কাঠামো জবাবদিহি, স্বচ্ছতা ও কার্যকারিতা নিশ্চিত করে।

সংক্ষিপ্ত ধারণা

সমাজ একটি ধাপে সাজানো, উপরমুখী কিন্তু স্থানীয়ভাবে শক্তিশালী কাঠামোর মাধ্যমে চলে। প্রতিটি স্তর তার উপরের স্তরে রিপোর্ট করে, তাই কাজের প্রবাহ ঠিক থাকে।


🔹 কাঠামোর ধাপ

  1. সুপ্রিম কমিটি
  2. কেন্দ্রীয় স্থায়ী ও কার্যনির্বাহী কমিটি
  3. জেলা স্থায়ী ও কার্যনির্বাহী কমিটি
  4. উপজেলা স্থায়ী ও কার্যনির্বাহী কমিটি
  5. সিটি কর্পোরেশন কমিটি (উপজেলা স্তরের সমান্তরাল)
  6. ইউনিট স্থায়ী ও কার্যনির্বাহী কমিটি

🔹 দায়িত্বসমূহ

  • সুপ্রিম স্তর: জাতীয় নীতি, দেবোত্তর ট্রাস্ট, আর্থিক নিরীক্ষা
  • কেন্দ্রীয় স্তর: জাতীয় বাস্তবায়ন ও কৌশল
  • জেলা স্তর: সমন্বয় ও তদারকি
  • উপজেলা স্তর: দৈনন্দিন পর্যবেক্ষণ
  • ইউনিট স্তর: মাঠ পর্যায়ের কাজ, সদস্য সংগ্রহ, সেবা প্রদান

এই কাঠামো জবাবদিহি, স্বচ্ছতা ও কার্যকারিতা বজায় রাখে।


5 - 5️⃣ আর্থিক কাঠামো ও রাজস্ব বণ্টন

বাংলাদেশ হিন্দু সমাজ একটি স্বচ্ছ রাজস্ব-বণ্টন মডেলে পরিচালিত হয়, যেখানে প্রতিটি স্তর প্রয়োজনীয় সম্পদ পায় এবং একই সঙ্গে উপরস্থ স্তরের কাছে জবাবদিহি বজায় থাকে।

👉 সুপ্রিম কমিটি প্রতি বছর অডিট পরিচালনা করে

সংক্ষিপ্ত ধারণা

বাংলাদেশ হিন্দু সমাজ এমন একটি রাজস্ব-বণ্টন কাঠামো অনুসরণ করে যা স্বচ্ছ, সহজ ও জবাবদিহিমূলক। এতে প্রতিটি প্রশাসনিক স্তর নির্দিষ্ট অংশ পায় এবং বাকিটা উর্ধ্বতন স্তরে যায়।


🔹 রাজস্ব প্রবাহ (৫০% উর্ধ্বমুখী বণ্টন)

উদাহরণ: যদি একটি ইউনিট ১০০ টাকা আয় করে—

  • ইউনিট রেখে দেবে ৫০
  • ৫০ পাঠাবে → উপজেলা
  • উপজেলা রাখবে ২৫ → পাঠাবে ২৫ → জেলা
  • জেলা রাখবে ১২.৫০ → পাঠাবে ১২.৫০ → কেন্দ্র
  • কেন্দ্র রাখবে ৬.২৫ → পাঠাবে ৬.২৫ → সুপ্রিম কমিটি

🔹 ব্যয়ের নিয়ম

  • নির্বাহী সভাপতি চলতি বছরের ফান্ড কমিউনিটি উন্নয়নে স্বাধীনভাবে ব্যয় করতে পারবেন
  • আগের বছরের ফান্ড ব্যয় করতে হলে পার্মানেন্ট কমিটির অনুমোদন প্রয়োজন
  • সুপ্রিম কমিটি প্রতি বছর অডিট পরিচালনা করে

6 - 6️⃣ বার্ষিক বাজেট কাঠামো

প্রতি বছর ১ জানুয়ারি নবনির্বাচিত সভাপতি দায়িত্ব নেন এবং সঙ্গে সঙ্গে পরিকল্পিত আর্থিক প্রস্তুতি শুরু করেন।

👉 একটি ৫২-সপ্তাহের বাজেট প্রস্তুত করুন

ভূমিকা

প্রতি বছর ১ জানুয়ারি নবনির্বাচিত সভাপতি দায়িত্ব গ্রহণের পরেই সংগঠিত আর্থিক পরিকল্পনা শুরু করেন।


🔹 পদক্ষেপ

  1. নবনির্বাচিত সভাপতি দায়িত্ব নেন

  2. তাঁরা স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে যুক্ত হন

  3. সর্বোচ্চ ১০ জন স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে নির্বাহী কমিটি গঠন করেন

  4. জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে:

    • একটি ৫২-সপ্তাহের বাজেট তৈরি করুন
    • স্থায়ী কমিটির সংখ্যাগরিষ্ঠ অনুমোদন নিন
  5. বাজেট পুরো বছরের জন্য কার্যকর হয়


7 - 7️⃣ নতুন ইউনিট গঠন

সম্প্রসারিত এলাকায় বা সুবিধাবঞ্চিত অঞ্চলে কমিউনিটি সেবা বাড়াতে ও সংগঠনের পরিধি শক্তিশালী করতে নতুন ইউনিট গঠন করা হয়।

👉 রাজস্ব সব কমিটির মধ্যে ভাগ করা হয়

সংক্ষিপ্ত ধারণা

বর্ধমান বা কম-সেবাপ্রাপ্ত এলাকায় কমিউনিটি সেবা পৌঁছাতে এবং সংগঠনের কাজ বিস্তৃত করতে নতুন ইউনিট প্রতিষ্ঠা করা হয়।


🔹 নতুন ইউনিট গঠনের ধাপ

  1. সুপ্রিম প্রেসিডেন্ট একটি নতুন পার্মানেন্ট কমিটি গঠন করেন

  2. ন্যূনতম ৫ জন পার্মানেন্ট সদস্য নিয়োগ করা হয়

  3. পার্মানেন্ট সদস্যরা ১০০ জন ভলান্টিয়ার সংগঠিত করেন

  4. কমিউনিটি মিটিংয়ে নতুন এক্সিকিউটিভ কমিটি নির্বাচন হয়

  5. ভলান্টিয়াররা দেবোত্তর ট্রাস্টগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখে

  6. ভলান্টিয়াররা স্থানীয় বিনিয়োগকারী চিহ্নিত করে

  7. সুপ্রিম ট্রাস্ট দেবোত্তর জমিতে উন্নয়ন করে:

    • ইজারা
    • নির্মাণ
    • ব্যবসায়িক উন্নয়ন (হাসপাতাল, হোটেল, হোস্টেল, কোচিং সেন্টার, দোকান, পশুপালন, মাইক্রোক্রেডিট)
  8. ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক প্রকল্পে স্থানীয় কর্মসংস্থান তৈরি হয়

  9. রাজস্ব সব স্তরের কমিটির মধ্যে বণ্টন করা হয়


8 - 8️⃣ দেবোত্তর সম্পত্তি উন্নয়ন মডেল

সমাজ অবহেলিত দেবোত্তর (হিন্দু ট্রাস্ট) সম্পত্তি রক্ষা, পুনর্জীবিত করা এবং অর্থনৈতিকভাবে সক্রিয় করতে কাজ করে।

👉 স্থানীয় ছোট ব্যবসাগুলো ফ্র্যাঞ্চাইজি মডেলে পরিচালিত হয়

সংক্ষিপ্ত ধারণা

সমাজ অবহেলিত দেবোত্তর (হিন্দু ট্রাস্ট) সম্পত্তি রক্ষা, পুনর্গঠন এবং অর্থনৈতিকভাবে ব্যবহারযোগ্য করে তুলতে কাজ করে।


🔹 সিস্টেম কীভাবে কাজ করে

  • সুপ্রিম ট্রাস্ট দেবোত্তর ট্রাস্টিদের কাছ থেকে জমি/ভবন ইজারা নেয়

  • বিনিয়োগকারীরা উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থ প্রদান করেন

  • সুপ্রিম ট্রাস্ট জমি আধুনিকায়ন করে বাণিজ্যিক ব্যবহারের উপযোগী করে

  • প্রকল্পগুলোর মধ্যে থাকতে পারে:

    • হোটেল / হোস্টেল
    • স্কুল / কোচিং সেন্টার
    • দোকান ও বাজার এলাকা
    • দুগ্ধ / প্রাণিসম্পদ প্রকল্প
    • মাইক্রো-এন্টারপ্রাইজ ও মাইক্রোফাইন্যান্স
  • স্থানীয় ছোট ব্যবসা ফ্র্যাঞ্চাইজি মডেলে পরিচালিত হয়

  • আয় ভাগ করা হয়:

    • স্থানীয় ইউনিট
    • উপজেলা ও জেলা
    • সেন্ট্রাল কমিটি
    • সুপ্রিম ট্রাস্ট

9 - 9️⃣ বাংলাদেশ হিন্দু সমাজ – সংবিধান

এখানে বাংলাদেশ হিন্দু সমাজের পূর্ণ সংবিধানের একটি সহজ-সরল ইংরেজি সংস্করণের বাংলা রূপ দেওয়া হলো।

👉 একজন ব্যক্তি শুধু একটি ইউনিটের সদস্য হতে পারেন। তবে ইচ্ছা করলে অন্য ইউনিটে স্থানান্তর হতে পারবেন, কোনো সুবিধা হারাবেন না।

এটি বাংলাদেশ হিন্দু সমাজের পূর্ণ সংবিধানের একটি সরল সংস্করণ।

1. সদস্যপদ

1.1 নতুন সদস্য পরিচয় করানো

কোনো নতুন সদস্যকে অবশ্যই একজন বিদ্যমান সদস্য পরিচয় করাবেন। শুরুতে সুপ্রিম প্রেসিডেন্ট-ই সব নতুন সদস্যকে পরিচয় করাবেন। পরে যাঁরা আসবেন, তাঁরাও আরও সদস্য আনবেন। এভাবে স্বাভাবিকভাবে কমিউনিটি বড় হবে।

একজন ব্যক্তি শুধু একটি ইউনিটের সদস্য হতে পারবেন। তবে ইউনিট বদল করলেও সদস্য সুবিধা একই থাকবে।


1.2 ভোটের ক্ষমতা ও তার বৃদ্ধি

একজন সদস্য যতজনকে পরিচয় করান—সরাসরি বা তাদের মাধ্যমে—তত বেশি ভোটশক্তি পান।

  • যদি সদস্য A মোট ১০০ জন আনেন, তাঁর ভোটশক্তি = ১০০ + ১ = ১০১
  • সদস্য B কাউকে না আনলে তাঁর ভোটশক্তি =

এই ভোটশক্তির পার্থক্যেই নির্বাচন ফল নির্ধারিত হয়। যেমন, যদি A ভোট দেন X-কে আর B ভোট দেন Y-কে, তবে X জেতেন ১০০ ভোটে (১০১ – ১ = ১০০)।

ভোটশক্তির বংশগত বৃদ্ধি

ভোটশক্তি পুরো ডাউনলাইন যোগ করে বাড়ে।
যদি A ১০০ জন আনেন, এবং সেই ১০০ জন মিলে আরও ১০০০ জন আনেন, তবে A-এর ভোটশক্তি = ১ + ১০০ + ১০০০ = ১১০১


2. সদস্যদের ধরণ

সংগঠনে তিন ধরনের সদস্য থাকবে:


2.1 বন্ধু সদস্য

  • যেকোনো বিদ্যমান সদস্য পরিচয় করান
  • কোনো ফি নেই
  • ভোট দিতে পারবেন না
  • নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবেন না
  • সুবিধা পাবেন না
  • মূল ভূমিকা—কমিউনিটিকে সমর্থন ও উৎসাহ দেওয়া

2.2 বেনিফিশিয়ারি সদস্য

  • সদস্য ফি দিতে হবে
  • ভোট দিতে পারবেন
  • নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবেন না
  • সুবিধা নিতে পারবেন
  • কল্যাণসেবা, সহায়তা ও বিভিন্ন সুবিধা পাবেন

2.3 স্বেচ্ছাসেবক সদস্য

  • সদস্য ফি দিতে হবে
  • ভোট দিতে পারবেন
  • নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবেন (শুধু ভলান্টিয়াররাই দাঁড়াতে পারবেন)
  • সুবিধা পাবেন না
  • ভূমিকা—সেবা, নেতৃত্ব ও সংগঠনের দায়িত্ব পালন

3. সদস্যভুক্তি প্রক্রিয়া

  1. কোনো বিদ্যমান সদস্য আগ্রহী ব্যক্তির নাম–ফোন–ইমেইল সংগ্রহ করেন
  2. তাঁকে পরিচয়দাতার নামে Friend Member হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়
  3. Friend Member সাহায্য চাইলে ইউনিট কমিটি তাঁকে
    Beneficiary Member করতে পারে
  4. নতুবা ইউনিট কমিটি তাঁকে Volunteer Member হতে উৎসাহিত করে

ভলান্টিয়ার হওয়ার শর্ত

  • অন্তত ১০ জন Friend Member পরিচয় করাতে হবে
  • অন্তত ১ বছর সক্রিয়ভাবে কাজ করতে হবে
    (নির্বাচনে দাঁড়ানো বা এক্সিকিউটিভ কমিটিতে যোগ দিতে হলে)

বার্ষিক শ্রেণি পরিবর্তন

প্রতি বছর দুর্গাপূজার সময় (অক্টো–নভে):

  • সদস্যরা তাদের শ্রেণি বদল করতে পারবেন
    • (Beneficiary → Volunteer বা Volunteer → Beneficiary ইত্যাদি)
  • ইউনিট পরিবর্তনও করতে পারবেন

4. বার্ষিক নির্বাচন ব্যবস্থা

নির্বাচন ধাপে ধাপে হয়: ইউনিট → উপজেলা → জেলা → কেন্দ্র।


4.1 ইউনিট প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

  • ডিসেম্বরে প্রথম সপ্তাহে
  • ভোটার: সেই ইউনিটের সব ভলান্টিয়ার ও বেনিফিশিয়ারি
  • প্রত্যেকে নিজের ভোটশক্তি অনুযায়ী ভোট দেন

4.2 উপজেলা প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

  • ডিসেম্বরে দ্বিতীয় সপ্তাহে
  • ভোটার: নতুন নির্বাচিত সব ইউনিট প্রেসিডেন্ট
  • ভোটের ওজন = সেই ইউনিটে মোট ভলান্টিয়ার + বেনিফিশিয়ারি সংখ্যা

4.3 জেলা প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

  • ডিসেম্বরে তৃতীয় সপ্তাহে
  • ভোটার: সংশ্লিষ্ট জেলার নতুন উপজেলা প্রেসিডেন্টরা
  • ভোটের ওজন = ওই উপজেলার ভলান্টিয়ার + বেনিফিশিয়ারি সংখ্যা

4.4 কেন্দ্রীয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

  • ডিসেম্বরে চতুর্থ সপ্তাহে
  • ভোটার: নতুন নির্বাচিত সব জেলা প্রেসিডেন্ট
  • ভোটের ওজন = জেলায় মোট ভলান্টিয়ার + বেনিফিশিয়ারি

4.5 অনলাইন ভোটিং

বেশিরভাগ নির্বাচন অনলাইনে হবে—দ্রুত, স্বচ্ছ ও নির্ভুল ফলের জন্য।


5. কমিটির ধরণ

সংগঠনে তিন ধরনের কমিটি থাকবে:


5.1 সুপ্রিম কমিটি

  • মূল ট্রাস্টের ট্রাস্টিদের নিয়ে গঠিত
  • অন্তর্ভুক্ত:
    • সুপ্রিম প্রেসিডেন্ট
    • সুপ্রিম ভাইস প্রেসিডেন্ট
    • লাইফটাইম মেম্বাররা
  • মেয়াদ: আজীবন
  • সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা
  • ট্রাস্টিরা সংখ্যাগরিষ্ঠে:
    • কাউকে অপসারণ করতে পারেন
    • নতুন সদস্য নিয়োগ করতে পারেন

5.2 স্থায়ী কমিটি

সব স্তরে থাকে:

  • কেন্দ্র
  • জেলা
  • উপজেলা
  • সিটি কর্পোরেশন
  • ইউনিট

মূল বৈশিষ্ট্য

  • শুরুতে সুপ্রিম প্রেসিডেন্ট সদস্য নিয়োগ করেন (ন্যূনতম ৫ জন)
  • মেয়াদ: আজীবন
  • সেক্রেটারি প্রধান
  • নতুন নির্বাচিত এক্সিকিউটিভ প্রেসিডেন্ট স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্থায়ী সদস্য হন
  • দৈনন্দিন কাজে যুক্ত হতে পারবেন না
  • এক্সিকিউটিভ কমিটির সিদ্ধান্ত দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে বাতিল করতে পারেন
  • বিরোধ হলে পরের স্তরের স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়

চেক সই

শুধু পার্মানেন্ট কমিটি সেক্রেটারি এবং এক্সিকিউটিভ প্রেসিডেন্ট যৌথভাবে সই করবেন।


5.3 কার্যনির্বাহী কমিটি

আছে—

  • কেন্দ্র
  • জেলা
  • উপজেলা
  • সিটি কর্পোরেশন
  • ইউনিট

মূল বৈশিষ্ট্য

  • প্রধান: প্রেসিডেন্ট (বার্ষিক নির্বাচন)
  • সর্বোচ্চ ১০ জন সদস্য মনোনয়ন দিতে পারেন (যোগ্য ভলান্টিয়ারদের মধ্যে)
  • সব দৈনন্দিন দায়িত্ব তাদের
  • প্রেসিডেন্টের ভেটো ক্ষমতা আছে
  • সদস্য অপসারণ/নিয়োগ করতে পারেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেক্রেটারিকে জানিয়ে

চেক সই

চেক সই হবে—

  • স্থায়ী কমিটি সেক্রেটারি
  • এক্সিকিউটিভ কমিটি প্রেসিডেন্ট

6. কমিটির শ্রেণিবিন্যাস

  1. সুপ্রিম কমিটি – সর্বোচ্চ নীতি কর্তৃপক্ষ
  2. কেন্দ্রীয় স্থায়ী কমিটি – দীর্ঘমেয়াদি কৌশল
  3. কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি – জাতীয় কার্যক্রম
  4. জেলা স্থায়ী & কার্যনির্বাহী কমিটিs
  5. উপজেলা স্থায়ী & কার্যনির্বাহী কমিটিs
  6. সিটি কর্পোরেশন কমিটিs
  7. ইউনিট স্থায়ী & কার্যনির্বাহী কমিটিs

সব কমিটি উপরের কমিটির অধীনে কাজ করে।


7. রাজস্ব বণ্টন ব্যবস্থা

সব ফি, দান ও আয়ের বণ্টন উপরের স্তরে ওঠে।

উদাহরণ:

একটি ইউনিট ১০০ টাকা আয় করলে—

  • ইউনিট রাখে ৫০ টাকা
  • ৫০ টাকা উপজেলা যায়
  • উপজেলা রাখে ২৫, পাঠায় ২৫ জেলা
  • জেলা রাখে ১২.৫, পাঠায় ১২.৫ কেন্দ্র
  • কেন্দ্র রাখে ৬.২৫, পাঠায় ৬.২৫ সুপ্রিম কমিটি

টাকা ব্যবহার

  • এক্সিকিউটিভ প্রেসিডেন্ট কমিউনিটি উন্নয়নে টাকা ব্যবহার করতে পারেন
  • আগের বছরের টাকা খরচে স্থায়ী কমিটির সংখ্যাগরিষ্ঠ অনুমোদন চাই
  • সুপ্রিম কমিটি বার্ষিক অডিট করে

8. বার্ষিক বাজেট

১ জানুয়ারি নতুন প্রেসিডেন্টরা দায়িত্ব নেন। তাঁরা স্থায়ী কমিটির সদস্য হন এবং সর্বোচ্চ ১০ জন ভলান্টিয়ার নিয়ে এক্সিকিউটিভ কমিটি করেন।

জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে তাঁরা—

  • পূর্ণ ৫২-সপ্তাহের বাজেট তৈরি করেন
  • স্থায়ী কমিটির সংখ্যাগরিষ্ঠ অনুমোদন নেন

9. নতুন ইউনিট গঠন

যেখানে নতুন ইউনিট সম্ভব:

  1. সুপ্রিম প্রেসিডেন্ট ন্যূনতম ৫ সদস্যের স্থায়ী কমিটি তৈরি করেন
  2. সদস্যরা অন্তত ১০০ ভলান্টিয়ার জোগাড় করেন
  3. কমিউনিটিকে সক্রিয় করা হয়, গণতান্ত্রিকভাবে এক্সিকিউটিভ কমিটি গঠিত হয়
  4. ভলান্টিয়াররা দেবোত্তর সম্পত্তি ট্রাস্টগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রাখে
  5. স্থানীয় বিনিয়োগকারী চিহ্নিত ও উৎসাহিত করা হয়

জমি ও ব্যবসায়িক মডেল

  • সুপ্রিম ট্রাস্ট দেবোত্তর ট্রাস্ট থেকে জমি/বিল্ডিং লিজ নেয়

  • বিনিয়োগকারীরা উন্নয়ন করে

  • প্রকল্পসমূহ:

    • হোটেল, হোস্টেল
    • স্কুল, কোচিং সেন্টার
    • দোকান
    • গবাদি ও কৃষি প্রকল্প
    • মাইক্রোফাইন্যান্স
  • ব্যবসা ফ্র্যাঞ্চাইজি মডেল-এ চলবে

লাভ বণ্টন

সুপ্রিম ট্রাস্ট আয় সংশ্লিষ্ট সব কমিটি ও অংশীদারদের মধ্যে ভাগ করবে।


10 - 🔟 সদস্য ফি ও কাঠামো

আমরা একটি সহজ নীতি অনুসরণ করি যাতে পক্ষপাত বা স্বার্থের সংঘর্ষ না হয়: যারা সুবিধা নেবে তারা সিদ্ধান্তে অংশ নেবে না; এবং যারা সিদ্ধান্ত নেবে তারা কোনো সুবিধা নেবে না।

👉 শুধুমাত্র আর্থিকভাবে অবদানকারী সদস্যদেরই থাকবে ভোটাধিকার

সময়ের সাথে দেখা গেছে—অনেকে সামাজিক বা কমিউনিটি কাজে জড়ালেও ধীরে ধীরে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন। কারণ—অনেক মত, অনেক তর্ক, কিন্তু কাজ এগোয় খুব কম। যখন ব্যক্তিগত যোগাযোগ বা বিনিয়োগ থাকে না, তখন মানুষ ধীরে ধীরে দূরে সরে যায়।

কিন্তু কেউ সামান্য ফি দিলেও—তাদের দায়বদ্ধতা বাড়ে। তারা চায় তাদের দেওয়া টাকা সঠিকভাবে, স্বচ্ছভাবে, এবং অর্থবহ কাজে ব্যবহার হোক। এই কারণেই সক্রিয় সদস্যদের অবশ্যই সদস্য ফি প্রদান করতে হয়। আর্থিকভাবে অবদান রাখার পরেই তারা ভোটাধিকার পায়।

আমরা একটি সহজ নীতি মানি—যারা সুবিধা নেন তারা সিদ্ধান্ত নেবেন না; আর যারা সিদ্ধান্ত নেন তারা কোনো সুবিধা নেবেন না।


সদস্যপদ ধরণ

🟦 বন্ধু

  • বার্ষিক ফি: 0 টাকা
  • সময় প্রতিশ্রুতি: মাসে অন্তত ১ দিন
    Friend সদস্যরা শুভাকাঙ্ক্ষী—বর্তমান কোনো সদস্য তাদের পরিচয় করান। তারা ফি দেন না, ভোটাধিকার নেই, নির্বাচন করতে পারেন না, এবং কোনো সুবিধাও পান না।

🟩 বেনিফিশিয়ারি

  • বার্ষিক ফি: 100 টাকা
  • সময় প্রতিশ্রুতি: সপ্তাহে অন্তত ১ দিন
    Beneficiary সদস্যরা সামান্য ফি দেন এবং সুবিধা গ্রহণের যোগ্য হন। তারা ভোট দিতে পারেন, কিন্তু নির্বাচনে দাঁড়াতে পারেন না

🟧 স্বেচ্ছাসেবক

  • বার্ষিক ফি: 1,000 টাকা
  • সময় প্রতিশ্রুতি: সপ্তাহে অন্তত ১ দিন
    স্বেচ্ছাসেবক পূর্ণ সদস্য ফি দেন, ভোট দিতে পারেন, এবং নির্বাচনে দাঁড়াতে পারেন। তবে তারা কোনো সুবিধা নিতে পারবেন না

আমরা কাকে খুঁজছি?

আমরা কাজ করি বহু ক্ষেত্রে—স্বাস্থ্যসেবা, আইনি সহায়তা, কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট, ঐতিহ্য রক্ষা, জীবিকাশ্রয়, ডকুমেন্টেশন, ডিজিটাল অপারেশন ইত্যাদি।
যে কেউ আন্তরিক মন নিয়ে কাজ করতে চাইলে স্বাগত। ভাল কাজের ইচ্ছাই এখানে প্রধান যোগ্যতা।

যে কোনোভাবে অবদান রাখতে ইচ্ছুক সবার জন্য আমাদের দরজা খোলা।

👉 সদস্য হতে আবেদন করুন—আপনার যাত্রা এখান থেকেই শুরু।


সদস্যপদ নির্দেশিকা

আমাদের নিয়ম খুব সহজ, যাতে যে কেউ সহজে যুক্ত হতে পারে:

  • আমরা ধর্মবিশ্বাসে বাধা দিই না—যে কোনো ধর্ম বা নাস্তিকতা গ্রহণযোগ্য।
  • আমরা খাদ্যাভ্যাসে বাধা দিই না—নিরামিষ, আমিষ—সবই গ্রহণযোগ্য।
  • কোনো নির্দিষ্ট পোশাকের নিয়ম নেই; স্থানীয় সংস্কৃতির প্রতি সম্মান থাকলেই যথেষ্ট।
  • ব্যক্তিগত উপাসনা ও আচার সম্পূর্ণ আপনার নিজের বিষয়।
  • ব্যক্তিগত জীবনযাপনে আমরা হস্তক্ষেপ করি না।

আমরা কিভাবে কাজ করি

  • সব যোগাযোগ ডিজিটাল—প্রিন্টেড কপি নয় (আইনগত প্রয়োজনে ছাড়া)।
  • সব হিসাব-নিকাশ, নথি ও রেকর্ড ডিজিটালি রাখা হয়।
  • নির্দিষ্ট অফিস সময় নেই; কাজ সময়মতো সম্পন্ন হলেই যথেষ্ট।
  • মূল দল সপ্তাহান্তে বৈঠক করে; অন্যরা সুবিধামতো যোগ দেয়।
  • সব সদস্যের কর্মকাণ্ড ডিজিটাল রিমোট সিস্টেমে পর্যবেক্ষণ করা হয়।

সদস্য প্রয়োজনীয়তা

স্বচ্ছতা ও যোগাযোগ বজায় রাখতে প্রত্যেক সদস্যের থাকতে হবে:

  1. নিজস্ব Gmail অ্যাকাউন্ট (অফিস ইমেইল নয়)
  2. একটি স্মার্টফোন (অ্যান্ড্রয়েড বা iOS)
  3. Telegram অ্যাপ ইনস্টল করা ও সক্রিয়
  4. অবশ্যই @BangladeshHinduSamaj অফিসিয়াল টেলিগ্রাম চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করতে হবে

নতুন সদস্যদের প্রথম কাজ

টেলিগ্রাম চ্যানেলে গিয়ে সর্বশেষ সদস্যপদ পোস্টে মন্তব্য করুন:

  • আপনার নাম
  • দেশ / রাজ্য / জেলা / উপজেলা / এলাকা
  • যে ইউনিটে যোগ দিতে চান

এই ধাপ সম্পন্ন করার পরেই সদস্যপদ প্রক্রিয়া এগোবে।

সব কাজের যোগাযোগ কেবলমাত্র টেলিগ্রামেই হবে।
Email, WhatsApp, বা ফোনে কোনো কাজের যোগাযোগ অনুমোদিত নয়।